সমালোচনা ।
[“বান্ধবে” শ্রীযুক্ত কালীপ্রসন্ন ঘোষ প্রণীত। ]
মনুষ্য জগতে নিখুঁত রূপ নাই এবং নিখুঁত কাব্য নাই। কবিবব শ্রীযুক্ত বাবু নবীনচন্দ্র সেনের এই কাব্য খানিও সর্ব্বাংশে নিখুঁত নহে। তবে, এ কথা তথাপি অক্ষুব্ধ চিত্তে বলা যাইতে পারে যে, পলাশির যুদ্ধ কাব্যে সর্ব্বত্রই তাঁহার অসাধারণ কবিত্বের নিদর্শন বলিয়াছে, ইহা নিশ্চয়ষ্ট বাঙ্গালা ভাষার কন্ঠহারে একটি কমনীয় আভরণ স্বরূপ গ্রথিত হইবে, এবং যত দিন এই ভাষা জীবিত থাকিবে, তত দিনই ইহার প্রফুল্লকান্তি বঙ্গবাসীর হৃদয়-দর্পনে প্রতিফলিত হইবে।
এই কাব্যের বিষয় পলাশিং গ্রসিদ্ধ যুদ্ধ, অথবা নবাব সিরাজদৌলার পতন এবং বঙ্গে ইংরাজ-রাজীর প্রথম অভৃদয়। এদেশীরের সাধারণতঃ যে সকল বিষয়ের আদর করিয়া থাকেন, এই কাব্যে তাহ প্রাপ্ত হওয়া যায় না। ইহাতে দেবতা নাই, গন্ধর্ব্ব নাই, দেবামুরের যুদ্ধ নাই, তপোবন প্রভৃতির বর্ণনা নাই, জটাচীঃধারী তাপশদিগের কঠোর তপস্যার কথা অথবা শৈবাল-সমাবৃত পদিনীর স্থায় বন্ধলাবৃত্ত তপস্থিকষ্টদিগের প্রেম, বিরহ ও অশ্রুবর্ষণ প্রভৃতি ভারতপ্রিয় হৃদয়হারি