স্বকীয় কল্পনা মাত্র। র্তাহার জন্য বাল্মীকিও মণি বেধ করিয়া যান নাই, এবং কবি-কল্প-পাদপ ব্যাসদেবও অনস্তুরত্বরাশি সাজাইয়া রাখেন নাই। তাহাকে প্রায় সমস্তই স্বহস্তে সঞ্চয়ন ও স্বহস্তে গ্রন্থন করিতে হইয়াছে। ইহা সামান্ত অভিমানের কথা নহে। গ্রন্থখানিতে যদিও আধুনিক রীতানুসারে একটি বিজ্ঞাপন সংযোজন করিয়া দেওয়া হয় নাই, কিন্তু কবি আশার, সম্বোধনচ্ছলে দ্বিতীয় সর্গের সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শ্লোকে মনের বিনয়াচ্ছন্ন অভিমান ও অভিমানাচ্ছন্ন ভয় অতি সুকৌশলে পরিব্যক্ত করিয়াছেন। আমরা তাহার অভিমানকে সৰ্ব্বাস্তু:করণে ক্ষম করি, এবং তাহার আশ। যে ডুরাশা নহে, ইহাও সরল হৃদয়ে বিশ্বাস করি। যাহার কৃপায় আজি বঙ্গে মধূম্বদন প্রভৃতির নাম লোকের কণ্ঠে কণ্ঠে বিচরণ করিতেছে, তিনি নবীন বাবুর প্রতি অপ্রসন্ন নছেন। পলাশির যুদ্ধ কাব্য অনতিবৃহৎ পাঁচটি সর্গে বিভক্ত। ইহার প্রথম সর্গে নবাব বিদ্রোহীদিগের ষড়যন্ত্র ও কুমন্ত্রণ, দ্বিতীয় সর্গে ব্রিটিশ সেনার শিবির সন্নিবেশ, তৃতীয় সর্গে পলাশি-ক্ষেত্রের বর্ণন প্রসঙ্গে সিরাজদ্দৌলার তদানীন্তন অবস্থা বর্ণন ইত্যাদি, চতুর্থ সর্গে যুদ্ধ এবং পঞ্চম সর্গে শেষ আশা অথবা সিরাজদ্দৌলার শোচনীয় উপাংশু-হত্যা। প্রথম সর্গের আরম্ভ যেমন গম্ভীর, তেমনিই মনোহর। বোধ হয়, মেঘনাদ-বধের আরস্তু বিনা বাঙ্গালার কোন কাব্যের প্রারম্ভ বর্ণনাতেই এইরূপ ভয়ঙ্কর গাম্ভীৰ্য এবং এইরূপ পরিমান মনোহারত্ব প্রদর্শিত श्य बाहे। वजरङी अर्लङ कि अनस्त्र दिखाड़ि जभूयात्वि बर्मिहरु মনে এক গাষ্ঠীৰ্য্যের আবেশ হয়। ইহা সেইরূপ গাম্ভীৰ্য্য নহে। কোন অলৌকিক-রূপলাবণ্যবতী অঙ্কন, কি মৃদুবাহিনী স্রোতস্বিনী, কিংবা
পাতা:পলাশির যুদ্ধ.djvu/১৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।