! s ] সেই লোমহর্ষণ বর্ণনা পাঠ করিয়াছেন, তাহাদিগের নিকট ইং বিস্ময়কর কি বিচিত্র বোধ না হইতে পারে। কিন্তু অমুকৃতির ছায়া আছে বলিয়াই যে ইহা কোন প্রকারে অযশের কারণ হইয়াছে, এমন নছে । আদেী, পলাশির যুদ্ধে এই অংশ অপরিহার্য্য। এটুকু ছাড়িয়া দিলে ইতিহাসকে লঙ্ঘন করা হয়। দ্বিতীয়তঃ, এই মন্ত্রণায় যাহারা অধিনায়ক, তাহাদিগের সহিত পাণ্ডিমোনিয়মের মন্ত্রণাধিনায়কদিগের অনেক বৈলক্ষণ্য। ইহার রক্ত মাংসের মনুষ্য, তাহার কবিকল্পিত অপদেবতা। ইহাদিগের শোক, দুঃখ, মৰ্ম্মব্যথা এবং আশা ও ভয় আমরা বুঝিতে পাই ; তাহাদিগের সমস্তই মানবীয় সহানুভূতির বর্হিভূত। * আমরা এষ্ট অংশ ইতে বিশেষ বাছনি না করিয়া কয়েকটি শ্লোক নিয়ে উদ্ভূত করিলাম। বর্ণনায় কিরূপ প্রশংসনীয় চিত্র-নৈপুণ্য দেথান হুইয়াছে, তাহা সহৃদয় পাঠকবর্গ বিবেচনা করুন ! r( প্রথম সর্গের ১১ হইতে ১৫ শ্লোক ) কূটচক্রবদ্ধ মন্ত্রণাকারদিগের প্রত্যেকেই সিরাজদ্দৌলার ঘোরতর বিদ্বেষী ও মৰ্ম্মান্তিক শক্র ছিলেন। সিরাজের সর্বনাশ হউক এবং তদীয় সিংহাসন এই মুহূর্তেই বিচূর্ণিত হইয়া যাউক ইহা প্রত্যেকেরই প্রাণগত কামনা ছিল। কিন্তু কবি অতি সাবধানে, অতি সুকৌশলে, ইহাদিগের এক এক জনের মনের ভাব এক এক রূপ ভাষায় প্রকাশিত করিয়া চরিত্রের বৈচিত্র্য রক্ষা করিয়াছেন এবং সেই সঙ্গে স্বকীয় লোকপ্রতিজ্ঞতা এবং শান্ধিক ক্ষমতারও পরিচয় দিয়াছেন। মন্ত্রিবর রায়দুৰ্ল্লভ কপট ধৰ্ম্মিক। র্তাহার মন কুৰ্ম্মশুওবৎ ;-উহা একবার বাহিরে
- उर অনুকৃতির ছায়া কিসে ?--প্রকাশক ।