so J আশা নামক কবিতার সহিত মিলাইয়া পড়িলে পাঠকবর্গ নিরতিশয় আনন্দ অনুভব করিবেন। ক্যাম্বেলের আশা পৃথ্বীলোক পরিত্যাগ করিয়া উৰ্দ্ধতম গগনে বিচরণ করে ; নবীন বাবুর আশা স্নেহগদগদ । প্রিয়কণ্ঠের স্তায় হৃদয়ের রন্ধে রন্ধে সঞ্চরণ করিয়া প্রাণ মন কাড়ির লয়। দুইটিই সুন্দর ও সুখদর্শন; কিন্তু একটি মধ্যাহ্ন-স্বৰ্য্যের ধরজ্যোতি ;. আর একটি লঘুমেঘাবৃত চন্দ্রম শীতল কাস্তি ; একটি স্বদূর্ববৰ্ত্তিনী, আর একটি মৰ্ম্মস্পর্শিনী। যিনি ব্রিটিশ সেনার প্রাণ, পলাশি-যুদ্ধের প্রধান নায়ক এবং ভারতের ইংরাজ-রাজমহিমার প্রথম প্রতিষ্ঠাতা, সেই চিরবিশ্রুতনামা দুৰ্দ্ধৰ্যপ্রকৃতি ক্লাষ্টবের সহিত এতক্ষণ কাহারও সাক্ষাৎ হয় নাই । তিনি কোথায় ছিলেন, কেন বঙ্গে আদিবেন। এবং বঙ্গে আলিয়াই বা আজ কি কারণে কাটোয়া-শিবিরে তরুতলে একাকী গভীর চিন্তায় নিমগ্ন, কবি আখ্যায়িকার প্রচলিত রীতানুসারে ইতঃপূৰ্ব্বে তাহার কিছুই, বলিলেন না, কিন্তু আশার নিকট জিজ্ঞাসাচ্ছলে যে ভাবে বীরবরকে সহস। অভিনয় ভূমিতে জানয়ন করিয়াছেন, তাহ অতি সুচারু হইয়াছে। এইরূপ পট-পরিবর্তনে মনে কৌতূহলের উদ্দীপন হয়, এবং উত্তরোত্তর চিত্রগুলি দেখিবার জন্য চিত্ত স্বভাবতঃই উৎসুক হইয়া উঠে। ক্লাইবের তৎকালীন মুখচ্ছবি এবং মনোগত ভাবের যেরূপ বর্ণনা হইয়াছে তাহাও আমাদিগের নিকট প্রশংসনীয় বোধ হইল। ( দ্বিতীয় সর্গ ১৯ হইতে ২১ শ্লোক )— নবীন বাবু, বর্ণনীয় বীরপুরুষের চক্ষু এবং দৃষ্টর প্রতিই সমধিক মনোযোগ দিয়াছেন । বোধ হয়, যদি তিনি তাহার অধর, ওষ্ঠ, নাসা, ভ্ৰযুগ এবং উপবেশন ভঙ্গিমাকেও ঐ সঙ্গে আঁকিয়৷ তুলিতেন, তাহ
পাতা:পলাশির যুদ্ধ.djvu/১৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।