পাতা:পলাশির যুদ্ধ.djvu/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

לכ হইলে বিজ্ঞানেরও সম্মান রক্ষা পাইত এবং বর্ণনাও চমৎকারিণী হইত। ক্লাইবের বর্ণনায় কিঞ্চিৎ মূনতা থাকিলেও, যিনি ধ্যানযোগে তাঁর মানস চক্ষুর সম্মুখবর্তিনী হইয়৷ এই ক্ষুদ্রতাময় নরলোকে ক্ষণকাল বিরাজ করিয়া গিয়াছেন,তাহার দিকে চাহিলেই সকল কথা ভুলিয়া যাই। একবার নাম ভরিয়া ঐ মূৰ্ত্তি নিরীক্ষণ করিলে, নবীন বাবুকে কখনই প্রশংসার সামান্ত উপহার দিতে প্রবৃত্তি হয় না; প্রশংসা করিবার ইচ্ছা তখন প্রীতি ও ভক্তিতে পরিণত হয় । যখন বীর-কেশী ক্লাইব, সংশয়দোলায় দোলায়িত হইয়া আশার হিল্লোলে একবার উপরে উঠতেছেন এবং পরিণাম-চিন্তায় আবার জড়সড় হুইযা ভূতলে গড়িতেছেন ; যখন সম্পদ ও বিপদ, বিজয় ও পরাজয় এবং কীৰ্ত্তি ও অকীৰ্ত্তির বিভিন্ন মূৰ্ত্তি র্তাহার কল্পনানেত্রে ক্ষণে ক্ষণে প্রতিভাসিত হইয় তাহাকে ভয়ানকরপে বিলোড়ন করিতেছে ; এবং যখন অপমানের বৃশ্চিক দংশন, লোভের অঙ্কুশ-তাড়ন এবং অভিমানের প্রদীপ্তবহ্নি তাহার চিত্তকে এক অনিৰ্ব্বচনীয় উৎসাহে স্ফীত করিয়া তুলিতেছে, এমন সময়ে রাজরাজেশ্বরীরূপিণী এক দিব্য রমণী আরাধ্য দেবতার স্তায় অথবা মূৰ্ত্তিমতী সিদ্ধি কি জয়শ্রীর দ্যায়, অন্ধকার-গৃহে দীপালোকবৎ, অকস্মাৎ তাহার নিকটে আবিভূর্ত হইলেন। তখন,— “সহস্র ভাস্কর তেজে গগন প্রাঙ্গণ ভাতিল উপরে; নিয়ে হাসিল ভূতল; সবিস্ময়ে সেনাপতি দেখিলা তখনি জ্যোতিৰ্ব্বিমণ্ডিত এক অপূৰ্ব্ব রমণী।" এই রমণীচিত্র অপ্রতিম। এই অলৌকিক রূপরাশি দর্শনে অতি