পাতা:পলাশির যুদ্ধ.djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 54 ) হইয়া শেষে সমস্ত হৃদয়কে তরঙ্গায়িত করিয়া তুলে। উল্লিখিত কবিদ্বয়ে শক্তি বিষয়ে এত তারতম্য কিসে? এই গ্রশ্নে সকলেই এই উত্তর দিবে *. একজন বুদ্ধির কবি, আর এক জন হৃদয়ের কবি ; পিঞ্জর-রুদ্ধ গৃহশুক এবং প্রমন্ত বন-বিহঙ্গ। যিনি বুদ্ধির কবি, তিনি যেহেতু এবং অতএব দিয়া বুদ্ধিমানদিগকে প্রবোধ দেন ; কিন্তু তাহার সেই সুমার্জিত ও সুসঙ্গত কথা শ্রুত হইয়াও অশ্রুতবৎ থাকে । যিনি হৃদয়ের কবি, তিনি তানমামে দৃকপাত না করিয়া মনের মুখে কি মনের দুঃখে হৃদয়ের গীত গাইয়া ফেলেন ; কিন্তু সেই বন্ত সঙ্গীত বিশৃঙ্খল হইলেও হৃদয়ে হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হয় এবং এক তানে শত তান স্বজন করে । পলাশির যুদ্ধ এই শেষোক্ত শ্রেণীর কাব্য। ইহা হৃদয়-রূপ জীবন্ত প্রস্রবণ হইতে নিঃস্থত হইয়াছে, এবং ইহার প্রত্যেক কবিতা, ও প্রতি পংক্তিতেই সজীবতার পরিচয় রহিয়াছে। আমরা ইহাকে বায়রণের কোন কাব্যের সহিত তুলনা করিতে ইচ্ছা করি না। কারণ, সে তুলনায় ইহা অবশুই হীনগ্রভ প্রতীয়মান হইবে। কিন্তু বায়রণের করিতায় যে দৃকপাতশূন্ত বন্তভাব এবং যে অদ্ভুত মাদকতা আছে, ইহাতেও অনেক স্থলেই তাহার অনুরূপ পদার্থ পরিলক্ষিত হয়। কোন কৃত্রিম কবি কদাপি পলাশির যুদ্ধ প্রণয়নে সমর্থ হইত ম৷ ৷ ” ইহার লেখকের হৃদয়ে চির-বসন্ত, চির-যৌবন। তাহাতে বাৰ্দ্ধক্যের জড়তা নাই, চিন্তামাত্র পরায়ণের সাবধানত নাই, এবং ভাবিয়া ভাবিয়া পদবিন্যাসেরও অবকাশ নাই। কিন্তু লেখা তথাপি হৃদয়স্পর্শিনী। আমরা নিম্নে তৃতীয় সর্গের আরম্ভ হইতে কতিপয় পংক্তি উদ্ধত করিলাম। নবীনচন্দ্রকে কেন অসাবধান বলি