( २१ } পাসরিয়া একেবারে সেই বিলাস-সবসীতে ভাসিয়া গেলেন । তথন, (তৃতীয় সর্গ, ৩, ৪, ১৩ শ্লোক )— আমরা পূৰ্ব্বে যে অসাবধানতার কথা বলিয়াছি, ইহাই সেই মসাবধানতা";—এক গীতের মধ্যে অ্যর এক গীত, এক রাগিণীর মধ্যে আর এক রাগিণী । কিন্তু এই অসাবধানতার যুধ্যও স্বভাবের কি চমৎকার শোভা, রহিয়াছে ! কি আশ্চৰ্য্য সহূদয়তাই প্রকাশিত হইয়াছে। তরঙ্গের পৃষ্ঠে তরঙ্গের ন্তায় উদ্বেল হৃদয় সমুদ্রে মুহুর্মুহুঃ ভাব-পরিবর্ত হইতেছে, আর আত্মবিস্তৃত কবি সেই সমস্ত চঞ্চল ভাবকে বর্ণ-তুলিক লইয়া অবিরাম চিত্রিত করিতেছেন। মনের এই অবস্থায় কি কখনও সাবধান হওয়া সম্ভবপর হয় ? অথবা তর্কশাস্ত্রকে প্রবোধ দিবার জন্ত অত সাবধান হষ্টয় চলিলে, কবিতা কি কথন ও চলসৌদামিনীর মত এরূপ স্মৃষ্টিমতী ও হৃদয়গ্রাহিণী হই থাকে ? কবি এই সর্গে আর একটি অসাধারণ ক্ষমতা দেখাইয়াছেন। রমণীর রূপ বর্ণনায়, নৃত্য গীতের বর্ণনায় এবং হাব, ভাব, লীগ, রঙ্গ এবং বিলাস বিভ্রমের বর্ণনায় প্রায়ই মনুষ্যের চিত্ত তরলিত হয়। কিন্তু এই সর্গে তাদৃশ বর্ণনা সকল পাঠ করিবার সময়েও চিন্ত তরলিত না হইয় যেন কি দুঃথে, বিষষ্ঠ ও ভারাক্রান্ত হইয়া পড়ে ;–অবিরল বৃষ্টিধারার মধ্যে রৌদ্রের বিষাদমাথা হাস্তের দ্যায়, অথব প্রভাতের নিভু নিভু। দীপশিখার দ্যায় পাঠকের চক্ষে সমস্তই নিরানন্দ আনন্দের মূৰ্ত্তি ধারণ করে। সংস্কৃত অলঙ্কার শাস্ত্রের অন্ধভক্তের আদিরসকে করুণরসের নিত্য বিরোধি বলেন। যিনি আদি রসের উদ্দীপক বর্ণনাতেও এইরূL ३
পাতা:পলাশির যুদ্ধ.djvu/১৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।