এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
পলাশির যুদ্ধ।
অদূরে পড়িল বজ্র, ধাঁধিয়া নয়ন।
গরজিল ঘন, ধরা হ’ল কম্পমান।
সেই ভীম মন্দ্র, রাণী ভবানীর কাণে
প্রবেশিল; বলিলেন—“একি ভয়ঙ্কর!
ওই শুন, মহারাজ! বসিয়া বিমানে
কহিছেন স্বরীশ্বর দেব পুরন্দর—
“দুঃখিনী ভারত ভাগ্যে”—অভ্রান্ত ভাষায়—
“লিখেছেন বজ্রাঘাত ভবিতব্যতায়।”
৬৪
“অতএব মহারাজ! এই মন্ত্রণায়
নাহি কাজ; ষড়যন্ত্রে নাহি প্রয়োজন।
শীতলিতে নিদাঘের আতপ-জ্বালায়
অনল-শিখায় পশে কোন্ মূঢ় জন?
‘রাণীর কি মত?’—শুন আমার কি মত;—
ইন্দ্রিয়-লালসা-মত্ত সিরাজদ্দৌলায়
রাজ্যচ্যুত করা নহে আমার অমত,
(আহা! কিন্তু অভাগার কি হবে উপায়।)
নিশ্চয় প্রকৃত রোগ হয়েছে নির্ণয়,
কিন্তু এ ব্যবস্থা মম মনোমত নয়।