এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় সৰ্গ।
৫৫
২৯
“কিম্বা পঞ্চাশত দিন আক্রমণ পরে,
—ম্মরিলে সে কথা, রক্তে বিদ্যুত্ খেলায়—
হোসেনের মৃত্যুদিন উপলক্ষ করে,
উন্মত্ত যবন-সৈন্য করিয়া সহায়,
পশিল কর্ণাটরাজ নিশীথ সমরে।
পঞ্চশত সৈন্যে, দশসহস্র সেনায়
বিমুখিমু সেই দিনে, তুলিনু বিমানে
ব্রিটিশের সিংহনাদ কাঁপায়ে ‘রাজায়’;
মরিতে কি এই ভীরু নবাবের করে?
না—তা নয়! আছে মম এই হস্তোপরে
৩০
অন্ধকূপহত্যা প্রতিবিধানের ভার;
রক্ষিতে ভারতবর্ষে ব্রিটিশ-গৌরব
দণ্ডিয়া নবাধে। হেন উদ্দেশ্য যাহার
তার কাছে কি অসাধ্য কিবা অসম্ভব?
অবশ্য পশিব রণে, জিনিব সমর,
অবশ্য সিরাজদ্দৌলা পাবে প্রতিফল;
“হও অগ্রসর, রণে হও অগ্রসর’—
আমার অন্তর আত্মা কহিছে কেবল।