পাতা:পল্লি-বিকাশিনী.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অঙ্ক । পঞ্চম গর্ভাঙ্ক । রামপুর, মনোরমার শয়নগৃহ । অবলাকান্তের প্রবেশ । অবলা। বেণী কি বাচ্বে নিশ্চয়ই বঁাচ বে ? উীর সম্বন্ধি যেরূপ বল্লেন তাতে কোন অমঙ্গল হবে না। ভাগ্যে সেই চীৎকার শব্দ শুনে চাষ ক জন ছুটে এসেছিল,—মতুবা আমিও মৰ্ত্তম বেণীরও জীবনের আশা থাকতে না। যে লাঠী মেরেছে মাথা ফটে নাই তাই রক্ষে। বেণীর স্ত্রীও আবার একটী রত্ন বিশেষ—আমার মনোরমার সই। প্রিয়ে বেণীর কথা বলতে বলতে বলি নাই তা হলে তুমি কঁদিবে। তোমার হাসি মুখ দেখবের জন্যই আমার এত ক্লেশ,বেণীর কথা বলে তোমার মন ক্ষুন্ন আগেই কেন করি। উঃ ! আজ কি ভয়ঙ্কর বিপদ হতে উত্তীর্ণ হয়েছি—মনোরমার সহিত যে আর দেখা হবে এমন অাশা ছিল না। শনিবার বলে ম। আসতে বারণ কল্লেন আমি তার কথা শুমৃদুম না-গুরু আজ্ঞা লঙ্ঘনের হাতে হাতে ফল। মনে রমে তুমি কত পুণ্য করেছিলে যে আজ তোমার প্রাণপতিকে জীবিত পেয়েছ! তুমি এখনও আসচোন। কেন ? (দ্বার দেশে আসিয়া উকি মরণ ) কৈ কাকেও ত দেখি না । ( শয্যায় উপবিষ্ট হইয়া ) মনে করেছিলুম বেণীকে দেখে আস বো–তা কেমন করে যাই। আসবার সময় বিপিন বাবু বল্লেন, আজি থাকলে ভাল হতো, —তিনি আমার মনের অবস্থা জামূলে কখনই এ কথা বলতেন না। বেণীর জীবনের কোন ভয় নাই বল্লেন সেই জন্যই আমি এলুম। প্রিয় তমার সহিত দেখা হলেই যে হয় আমি একবার বেণীকে দেখে আসি–