পাতা:পল্লি-বিকাশিনী.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S): পক্সি—বিকাশিনী । মম! আস্বস্ত হও—চিন্তা কি—মনোরম এলেন বলে । ( পুনরায় দ্বারদেশে গমন ও পুনরায় শয্যায় উপবিষ্ট )। মন এত চঞ্চল হয় কেন মনোরমা—এস-এস শীঘ্র এস আর দেরী কর না । মন আমার এত চঞ্চল! দূর হোক দ্বারের দিকে এক দৃষ্টে তাক য়ে থাকি মনোরম হাস তে হাস তে আসবেন আমি দেখবে-কৈ প্রিয়ে এখনও এলে না । ( চিন্তা ) । (অবগুণ্ঠনাবৃত মুর্থী মনোরমার প্রবেশ ও শয্যার পাশ্বৈ কদেশে উপবেশন ) একি ! মনোরম তোমার চাদ মুখে হাসি দেখ বো বলে দ্বারের দিকে একদৃষ্টে চেয়ে আছি—প্রিয়ে এরূপ মোন ভাবে কেন এলে—অবগুণ্ঠনেই বা কেন বদন ঢাকিয়া বসিলে ! প্রাণ অামি তোমাকে বিষঃমুখে বিদায় দিয়েছিলুম, তুমি সেই কথা আমাকে কত বার লিখেছ—কতবার আমাকে তিরস্কার করেছ ---প্রিয়ে । আর মৌনভাবে থেক না, আমার অন্তর্যাতনায় আর অtহুতি দিও না। তোমার হাসি মুখ ধ্যান করে কত দুঃখ পেয়েছি,--প্রাণ একবার হাসি মুখে কটাক্ষ কর-নিকটে এসে বিরহানল আর প্রজ্জলিত কর না। পথে যে বিপদে পড়েছিলুম—বোধ হয় সমুদয় শুনেছ, মনোরম। তবে কেন এত নির্দয় হলে---এ দাস তোমার নিকট এত কি অপরাধ করিল। ( গাত্রে হস্ত দিয়া রোদন স্বরে) মনোরম তুমি লিখেছিলে-তোমার এই কোমল হাতে লিখেছিলে--নাথ এস, দাসী তোমা বিহনে কাঙ্গালিনী প্রাণ এ কথার কি এই পরিণাম ? ( অবগুণ্ঠন মধ্যে বদন নিরীক্ষণ করিয়া) প্রাণ তুমি কাদ কেন ? নয়ন দ্বয় হতে বাষ্পবারি নিঃশব্দেই বা বিগলিত হয় কেন ? তোমাকে এরূপ অবস্থায় দেখে মন যে আরও চঞ্চল হলো। মনোরমা, আমি তোমার নিকট এত কি অপরাধ করিলাম যদি অপরাধই করে থাকি তবে তোমার এ সময় ক্ৰন্দন ত উচিত নয় মনোরমা। এই দারুণ বিচ্ছেদের পর এমন