পাতা:পল্লি-বিকাশিনী.pdf/১৩১

পক্সি—বিকাশিনী । שמצ গর্ভধারিণী মা, জন্মদাতা পিতা এত পাষাণ, তার জীবনধারণে কল কি ! তুমি মলে নাথ আমি অনাথিনী হবে।—ওমা! তা ভাব লে যে প্রাণ ফেটে যায় নাথ—এস নাথ রাত্রি হলো, আর বিলম্ব কর ন—এস এই সময়, এ পাপ হাতে খোপা বেঁধে দিয়ে-হাত সার্থক করি। চাঁদ মুখে জন্মের মত বিদায় কালে একটা চুম্বন করি (রোদন )। তোমার মুখ দেখিতে দেখিতে মলে দাসীর মরণ মুখের হতে ; কিন্তু তুমি তা চোকে দেখতে পারবে না। ( শয্যা হইতে উত্থিত হইয়া) এস নাথ! আর বিলম্ব কর ন। ; দস্থ্যর এখনি এসে উভয়ের জীবন— অব । তোমা ধনে বঞ্চিত হয়ে আমি কি লয়ে থাকবে মনোরম! দসু্যরা অসে আমুক,–মারে, যারুক—উভয়েই মরি,—তুমি আমি একত্রিত হয়ে একাসনে বসে পরস্পর পরস্পরের মুখ দেখতে দেখতে মরলে। এ বড় আনন্দের বিষয় । স্বামী স্ত্রী একাসনে,—এরূপ ভাবে মরে নাই—আমরা মরি। মনে রমে এমৃত্যু বড় মুখের মৃত্যু। মনে । না নাথ তা হবে না, তোমার যখন বাচবার উপায় আ— অব। মনোরমে—প্রাণাধিকে ! তুমি আমার প্রাণের অধিক তুমি আমার গৃহে লক্ষ্মী, জীবনের ভরসা, কৰ্ম্মে বুদ্ধি, তুমি আমার সকলই, তোমা বিহনে সকলই অন্ধকার—মনোরমা ! আর আমায় অনুরোধ করে। ন। আমি মল্লিব, ( উত্থিত হইয়া) এস বাহিরে এল,—জন্মের মত জননী বসুন্ধরার নিকট হতে বিদায় লই, জগদীশকে ধন্যবাদ দেই। আর ভাবিও না, যদি উভয়ের জীবন রক্ষ। হয় তবে বঁচিব নচেৎ— (উভয়ের বাহিরে গমন । অব। ( বাহু দ্বার পরসপন্ন পরস্পরের গল বেষ্টন করিয়া )— জনমের মত আজি ভারত জননী, যাচিছে বিদায় দাস ও পদ কমলে, মনে রেখ অধীনে মা বিশ্বনিরমণি,