পাতা:পল্লি-বিকাশিনী.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পল্লি—বিকাশিনী। । SS আমার হৃদয় অধিকার করে তবে সে তুমি, কিন্তু এখন জানিলাম সে ভ্রম। যিনি ইহকাল, যিনি পরকাল, যাকে লয়েই সংসার, তুমি আমার সাক্ষাতে অম্লানবজনে উঠার নিন্দ করিলে ! হরি। তবু রক্ষে, মুখ দেখে আমার হয়ে গিছলো। ভাই তোমার যেমন মনের মতু ভাতার হয়েছে, আমারও যদি ঐ রকমটা হতো, তবে আমিও আবার তোমাকে কত নেক্চোর দিতে পাত্তাম। পোড়তে তোমার দাদার কানায় তবেইসিন বুজতাম। বিয়ে হয়ে পৰ্য্যন্ত আর বাপের বাড়ী আসনি, তবু ঠাকুরজামাই ছেড়ে দিতে চায় না। আমরা কতবার এলাম, কতবার গেলাম, ভ্ৰক্ষেপও নেই। মনো"। স্বামী মন্দ হলেও স্ত্রীর কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম অবহেলা করা উচিত নয়, দাদার অনেকগুলি দোষ আছে, তা বলে সেগুলি তোর মুখে শুনতে ভাল শোনায় না। হরি। ঠাকুরী তুই এখানে এসে পৰ্য্যন্ত আমি কি মুখে আছি বলতে পারিনে, তুই গেলে যে কি দুঃখে কাল কটাব এক এক সময় ভাবি আর কঁাদি। যার জন্মই কেবল দুঃখ ভোগ কৰ্ত্তে, তার মুখ না হওয়াই ভাল। মনো। কেন ভাই তোর এত কি দুঃখ ? হরি। হেঁসে খেলে বেড়াই মাত্ৰ-মনের আগুণ মনেই জ্বল্‌ছে বলে। কান দিয়ে শুনি ভাল রাগিনীর পিলু । হাত দিয়ে দেখি সই রাবণের চিলু। মনে । তোর হাসি কান্না আমি ত কিছুই বুঝতে পারি না। হরি। কেঁদে কি করবে। ভাই—আমার কান্না শুনে একবার আহ। বলে এ সংসারে আমার এমন কেউ নেই। তোর কাছে কাঢ়লে পাছে তোর কোমল মনে ব্যথা লাগে। আর তুইত দুদিন পরেই যাবি। মনে। দুঃখের একটা কথাই বল। হরি। তুই ছাড়া আমার ত্রিসংসারে আর কেউ নেই আমায় আর কেউ তলবাস না। বিয়ে না হতে ম আমার জন্মেরমত চোকের আড়াল