পাতা:পল্লি-বিকাশিনী.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

28} পদ-বিকাশিনী। মনো— বোন তোর মনে নাকি বিন্দুমাত্র মলিনতা নাই তাই তুই একথা বলছিল। তোর দুঃখের কথা আমি ওবাড়ীর দিদিমার মুখে সব শুনেছি—মকে এ সম্বন্ধে কোন কথা বলতে তিনিই বারণ করে দেন—সেই জন্য বলি নাই। আমি তোর কাছে সৰ্ব্বদাই থাকি, মার তাতে কত মন ব্যাজার। পিতার নিকট বল্লেম তিনি মার রায়ে রায় দিলেন বোল্লেন, আমি কি করবে। ছোড়দার নিকট কোন কথাই বলবের উপায় নাই, উার সাক্ষাতে যেতেই আমার ভয় করে। কাল তোকে প্রহার করেছেন শুনে ইচ্ছা হলে, যাই একবার দুট কথা বলে আসি—কিন্তু সাহস হলে नो | হরি- ঠাকুরী দেখছে। কি, এবার মরে পুরুষ হবে। ম:না— কি আমোদ করিস ভাল লাগে না। হরি— না, সান্ত্রি, মারি । শান্ত— দেখলে দিদি ওর রকমট, হচ্চে ওর দুঃখের কথা ও করে রঙ্গ। সাধে বলি ও একটা পাগল । মনো— বোন আমি তোর দুঃখের কথা শুমে, যেমন মনে ব্যথা পেয়েছি কথায় বলে জানান যায় না। যদি অন্য কোন উপায় থকৃতে। তোর এ সংসার কৰ্ত্তে হতে না। তবে কি করে। জগদীশ্বর যখন যে অবস্থায় রাখেন, তার কোন না কোন মঙ্গল উদ্দেশ্য আছে—এই দারুণ দুঃখের সময় কিছুই জানতে পারচোন। পরে জানবে। শান্ত– দিদি ছোটবোর আমাদের কোন দোষ মেই—কেবল মুখদোষ । কারে অন্যায় দেখলে চুপ করে থাকৃতে পারে না, কেউ কোন অন্যায় কথা বল্পে সহ্য কৰ্ত্তেও পারে না L ও যদি অন্য ঘরে পড়তো ওর মুখের সীমা থাকতে না । এ সংসারে উচিত কথা বল্লে তিষ্ঠন যায় ন। কেউ ভালবাসে না, ও তা বুঝবে না। আমি কত দিন বলেছি আমার কথায় ৰাম দেয় না। পাড়াগার মেয়ের কি উচিত কথার মানুষ !