পাতা:পল্লি-বিকাশিনী.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পল্লি-বিকাশিনী । २२ আমাদেরও সংসার আছে আমাদেরও শ্বাশুড়ী ভাজ সকলই আছেন,কৈ কারো মুখে ত কখন উচ্চ কথা শুনি নাই। শান্ত । অন্যায় কাজ কল্লে, না বলা আবার অন্যায় আমার শ্বাশুড়ী আমার অন্যায় দেখলে বকেন, পরক্ষণেই আদর করে ডাকেন, আমি সব ভুলে যাই। নিরো। এ কালে কি আর শ্বাশুড়ী ননদের গল্পনা আছে। স্বামী কর্মক্ষম হলে সকলেই হস্তগত হলো। তখন কোন অন্যায় কাজ হলেও ভয়ে কেউ কোন কথা বল্‌তে পারেন। তখন তিনি হলেন গিন্নি, পাছে গিন্নি রাগ করেন, সকলে ভয়ে জড় সড়। আমি ইচ্ছা করেও কত অন্যায় কাজ করেছি-কাব মুখে কখন উচ্চ কথা ত শুনি নাই। হরি। আমাকে ভাই তোদের বাড়ী নিয়ে যেতে পারিস ? শশি। তাও আবার বলি ভাই, বেয়ের অন্যায় দেখলে শ্বাশুড়ী কি অপর কেহ কোন কথা বলতে পার বেন না, সেট স্ত্রীর নিন্দ বৈ পোরষের কথা নয়। এরূপ হলে স্ত্রীপুরুষের প্রণয় কখনই মুখের হয় না। স্বামী স্ত্রৈণ না হলে এরূপ ঘটে নাঁ । মনো। স্ত্রীগণ ভালরূপ সুশিক্ষিত হলে শ্বাশুড়ী ননদের গঞ্জনার কারণ থাকে না, স্বামীও ন্ত্রৈণ হন না। শশি । পল্লি গ্রামে স্ত্রী শিক্ষণ প্রণালী প্রচারিত হওয়া নিতান্ত আবশ্যক ; সেটা ভবিষ্যতের জন্য কিন্তু আশু কোন উপকার দশে ন৷ শ্বাশুড়ী ননদের গঞ্ছনা পল্লিগ্রামেই বেশী। শ্বাশুড়ী প্রথমেই যাহাকে যে চক্ষে দেখেন তাঁহাই চিরকালের ন্যে থাকিয়া যায়—যদি বিষচক্ষে পড়িলেন তবে তিনি বিদ্যাধর্তীই হউন, বা বুদ্ধিমতী হউন, সেই বিষচক্ষে চিরকাল থাকিলেন। মনে। আমাদের ছোট বেকে বাড়ীর কেহ দেখতে পারে না, কেবল উচিত কথা সকলকেই বলে বোলে। যদি সকলই শিক্ষিত হইত তবে ওকে কে না আদর করিত-কে না ভালবাসিত । পল্লিগ্রামের