পাতা:পল্লি-বিকাশিনী.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२ পল্লি—বিকাশিনী। নি। সেখানে স্বামীর নিকট যা চাও তাই পাওয়া যায়,-যে গহন। চাও তাই দেন-এত ভালবাসেন, তবু তিনি স্ত্রীর হলেন না এ আবার কেমন কথা । শশি। দিদি ! অঙ্গে দশ খান গহনা দিলে কি ভুল বাস হয়। যার স্বামীর নিকটে থেকে স্বামী সহবাস মুখ বঞ্চিত।---তাদের মত হতভাগিনী আর নাই । তারা দশ খান গহনাই অঙ্গে দেন, আর নিজে মুখে আছেন বলে যতই গৰ্ব্ব করুন, ওঁরা অন্তরে অন্তরে যে যাতন। ভোগ করেন, তাদের সেই অন্তর্যাতনার সহিত তুলনা কলে আমাদের ছোট বোঁ বরং মুখে আছে। হরি। কি বল্লি ভাই আমার চেয়েও দুঃখিনী আবার আছে? আমি তবে একটু হামি। (হাস্ত ) শশি । (হাসিতে হাসিতে) এমন লোককেও গঞ্জন দেন। কলকেতায় স্বামী—সকলের না হোক —অনেকের বশে থাকতে পারেন কিন্তু কাছে থাকতে পারেন না । সেট স্বামীর দোষ নয়, মাটির দোষ । সেখানে তাকে আগে খায় মদে, পরে বেশ্যায় । হা মদ কি কুক্ষণে তুই ভারতভূমিতে পা দিয়েছিলি, এমন সোণীর পুরী একেবারে উচ্ছন্ন দিলি । কতকুলকামিনী সৰ্ব্বস্বধন হৃদয়বল্লভকে দুরাচারের হাতে সমর্পণ করে অদ্যাপিও দারূণ বৈধব্যদশা ভোগ কচ্চেন। কত শত কুলকামিনী বেশ বিন্যাস কর, পতির প্রেমালাপে যদিনীযপন কৰ্ব্বে ভো —প্রদীপ ঘূেলে, একখানি পুস্তক হাতে লয়ে পড়ছেন না পড়ছেন, স্বামীর আশাপথ চেয়ে আছেন—কোথায় কিছু নড় লো—ঐ বুঝি নাথ এলেন—তড়াতাড়ি শব্য হতে উঠলেন, ক্রমে দশটা, এগারট, দুপুর একট। বে:জ গেল—প্রাণনাথ এলেন না, হাপুস নয়নে কঁাদিতে Fদিতে শয়ন করিলেন । মনো। বস্তুতঃ ভাই স্বামী মুখ না থাকলে সকল মুখই দুঃখের কারণ। কল কেতায় পুরুষগণ স্ত্রী শিক্ষায় যেমন উৎসাহ দিতেছেন,