পাতা:পল্লি-বিকাশিনী.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পল্লি-বিকাশিনী । لان কিছুতেই দেখিতে পাইলাম না—আভাস মাত্র মনে আসিল-অমনি তোমার বিষঃ কটাক্ষ হৃদয় জর্জরিত করিল। আর এক দিন আমি গৃহে বসিয়া চুল ধাধিতেছি—তুমি গোপন ভাবে আসিলে আমি আয়নার মধ্যে দিয়া দেখিলাম—একটু হাসিলাম । তুমি অমনি কহিলে আমার বৈ এখানে কে আনিল । আমি কহিলাম ‘ চোর ’ । তুমি কহিলে আমার বৈ চুরিকরে যে কেমন চোর—তাকে জেলে দিতুম—কিন্তু আজ কাল নূতন আইন। আমি কুহিলাম সে জেলে যাবে বলেই চুরি করেছে—এখন জেলা ধ্যক্ষের অনুগ্রহের উপর তার সম্পর্ণ ভরসা । তুমি বলিলে । জেলধক্ষের অনুগ্রহ থাকৃতে পারে কিন্তু মমিষ্টেটের বিচার ব্যতিত কিরূপে হয় । আমি অমনি বিউনি ধরিয়া উঠিলাম—কহিলাম মাজিষ্ট্রেটের বিচারে কি হয় । তুমি কহিলে এই দুৰ্ব্বৎসর—একখান পুস্তক—তবে পাঁচ বতে বলিতে বলিতে হাস্য মুখে আমার নিকট আসিলে, তখন আমি কহিলাম হজুর এ অন্যায় বিচার হলো—আমি যাবজ্জীবন কারাগারে থাকতে পারি একেবারে পাঁচ বেস্তু খেতে পারি না । তুমি অমনি হাসিতে হাসিতে বলিলে ভান তবে দুইবেত-বলিয়াই এ গালে একটী ও গ্রালে একটা চুম্বন করিলে , . কি চমৎকার স্বরণ শক্তি প্রিয়তমার এগুলি সমুদয় মনে আছে—(পত্র( לז9 প্রাণ এই সমস্ত কথা স্মরণ করিয়া যে ক্লেশে আছি সহজেই বুঝিতেছ। কিন্তু আমি এ ক্লেশকে ক্লেশ বোধ করিতাম না যদি তোমার হালি হাসি মুখ মনোমধ্যে দেখিতে পাইতাম। নিজে দুঃখকে ডাকিয় হৃদয়ে স্থান দিয়াছি তুমি কি করবে। তাই ন হয় তোমার পত্র দেখিয় প্রাণ শীতল