পাতা:পল্লি-বিকাশিনী.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্জি-বিকাশিনী । כ\לו হৃদয়ে পাষাণ বধিয়াছ ! না নাথ এ ত ক্ষণ কালের জন্য বিশ্বাস করিতে পারি না। তবে পত্র নিখিতেছ না কেন ? তোমাকে এখানে আসিতে অনুরোধ করি, আবার পাছে তোমার পড়া কামাই হয় এজন্য লিখিতে সাহস হয় না। নাথ দাসী বলে যদি চরণে স্থান দিয়া থাক, তবে আর দুঃখ দিওনা। মহাপ্রাণী আমার যেরূপ করিতেছে তুমি জানিলে স্থির থাকিতে পারবে না, পত্র দেখিয়া যদি মনের ব্যথা কিছুৰুবিয়া থাক ,জুব অবশ্যই দেখা দিবে। প্রাণতুমি যে আমার প্রাণ—আমার প্রাণে ক্লেশ দিয়া কি স্থির থাকিতে পার । নাথ এস, একবার এস, অভাগিনী তোম। বিহনে কাজালিনী । আমিবার সময় পুস্তক লইয়া আসিও, তুমি হাসিতে হাসিতে পড়িও আমি তোমার সময় নষ্টের কারণ হইব না, স্থির ভাবে বসিয়া তোমার বদন নিরক্ষণ করিব। দাসী তোমার নিকট আর কিছুই চাহে না। (চলুআবরণ) ওঃ কি কঠিন হৃদয়! কি পাষাণময় ! (দীর্ঘনিশ্বাস ) থাকু আগে পত্র খানি সমুদয় পড়ি, (পত্র পুঠি ) - প্রাণ কাল নিশীথ সময়, এদুখিনীকে দেখা দিয়া কেন প্রস্থান করিলে ছোট বে। আমার কাছে ছিল, সে দুঃখিনীর কথা পর্বেই লিখিয়াছি— স্বীয় প্ৰাণেশ্বর কৰ্ত্তক তর্জন গর্জন সহকারে প্রহারিত হইয়া দুঃখিনী আমি পোড়া কপালীর নিকট শয়ন করে, তার -দুঃখ দেখিয়া কত কঁদিলাম, কিন্তু সে আমার চক্ষে জল দেখিতে পারে না তখন গীত গাইল “বেঁচে থাকুক বিদ্যাসাগর চিরজীবি হয়ে , পরে নানারূপ কথোপকথনে উভয়েরই নিদ্রা আসিল ।—নিদ্রাবেশে দেখিলাল তুমি আমার নিকট নিদ্রিত। আমি ডাকিলাম—তুমি জাগিলে, প্রদীপ জালিতে কহিলে, প্রদীপ জ্বালিলাম। তোমার দেহ দেখিতে পাইলাম, মুখ দেখিতে পাইলাম মা , তুমি হাস্যরবে ছোট বোঁকে কি বলিলে আমার রাগ হইল,--মোনবতী হইলাম। তুমি ন ডাকায় আমি তোমার গলা