পাতা:পল্লি-বিকাশিনী.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qe পল্লি-বিকাশিনী । চন্দ্র । তোমরা ব্রাহ্মমতে বিবাহ দেবে—কিন্তু আমি অত দিন নলিনীকে আইবুড়ে রাখতে পাৰ্ব্বে না। নর। নলিনী কি তত দিন থাকতে পার্কে না ? চন্দ্র। পারে না পারে সে কথা হচ্চে না ? ইংরাজের মেয়ের ১৮১৯ বৎসর বয়স না হলে বিবাহ করেন না। তাদের যৌবন আরম্ভ উহার পর হতে । কিন্তু আমাদের দেশে মেয়েদের ‘ কুড়ী উৎরুলেই বুড়ী , ইংরাজী প্রথা আমাদের দেশে চালান অন্যায় । আমার মতে মেয়ে বার বৎসর উত্তীর্ণ হলেই বিবাহ দেওয়া কৰ্ত্তব্য । নর। তবে তোমার মত সংবাদ পত্রে প্রকাশ কৰ্ত্তে হলো । চন্দ্র । এক্ষেণে । সে বিষয়ে কেহ প্রতিবাদ করেন,—পত্রিক আমর নিকট পাঠয়ে দিও আমি তার প্রতিবাদ কৰ্ব্বে । নর। বার বৎসর বয়সে তোমার বিবাহ হয়েছে বলে কি সকলের হবে ? চন্দ্র। আমার বীর বৎসরের কমে হয়েছিল। বার বৎসর উত্তীর্ণ হলেই এদেশের মেয়েদের জ্ঞান হয়, বুদ্ধি হয়, সকলই হয় । নর। সকলই কি ? চন্দ্র । কি জানি আমি অত জানি না—যই অনেক্ষণ এসেছি যে গ্রাম, কত কথা শুন্তে হবে । নর। প্রিয়ে আমার একটা বড় বদ্‌নাম হয়েছে—আমি মদ খাই, গাজ খাই, পরস্ত্রী গমন করি, এই সকল কথা লয়ে গ্রামের প্রধান প্রধান লোক আন্দোলন করেন । \ চন্দ্র। তুমি কোন স্থানে যেওনা বাড়ীতেই থাক, তারা বলে মুখ ব্যথা করেন করুন, মেয়েগুলিও যেমন পুরুষগুলিও তেমনি-কৃষ্ণবাৰু সে বার তোমাকে দেখতে এলেন—আমি অপরাধের মধ্যে জানালার দ্বারে দাড়য়ে ছিলেম,-মেয়েরা সেই জন্য আমাকে বলে দুই বন্ধুর মধ্যস্থলে রাত্রে শুয়েছিল—আমি কথা শুনে কত কেঁদে– নর। আমার দ্বারা লোকের উপকার হয় এই জন্যই যাই নতুব