পাতা:পল্লীগ্রামস্থ চৌকীদার বিষয়ক প্রস্তাবিত রাজ নিয়মের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষীয় সভার আবেদন.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ৮ )

রদের সংখ্যার ন্যূনতা করিতে অথবা একেবারে চৌকীদার না রাখিতে ইচ্ছা করিলেও ইংরাজি ১৮০৭ সালের ১২ আইনের ২১ প্রকরণের আভাস মতে রাজ্যের উপকারার্থে কতক চৌকীদার রাখিতেই হইত। স্পষ্টই বোধ হইতেছে, প্রজাদিগের অধিকারের উপর এরূপ অত্যাচার করা গবর্ণমেণ্টের কখনই ইচ্ছা নহে। তবে যে এইক্ষণে রাজপুরুষেরা ভূম্যধিকারিদিগের ও তাঁহারদের প্রজাদিগের প্রতি ভিন্ন ভাব প্রকাশ করিতে উদ্যত হইয়াছেন, ইহা অতি আশ্চর্যের বিষয়। যেরূপ গৃহস্থের চৌকীদার কোন বিশেষ ব্যক্তির ভৃত্য, তদ্রূপ গ্রামের চৌকীদারেরা প্রজাদিগের ভৃত্য; বিশেষ কর্ম্ম গতিকে উভয়েই রাজনিয়ম অনুসারে শান্তি রক্ষক কর্ম্মচারিদিগের অধীন। পরন্তু আমারদিগের ইহা বোধ হইতেছে, যে গ্রামস্থ লোকেরদের হিতাহিত বিবেচনা করিয়া দেখিলে যে রাজনিয়ম অনুসারে গ্রামের চৌকীদারেরা কোন কোন বিষয়ে পুলিস দারোগাদিগের অধীন, সেই সকল নিয়ম রহিত করিলে ঐ সকল চৌকীদারদিগের কার্য্যকারিত্ব ও উপকারিতা বৃদ্ধি হইতে পারে। কারণ যদিও রাজকীয় কর্ম্মচারিরা এই পল্লীগ্রামের চৌকীদারদিগকে সর্ব্বদা অকর্ম্মণ্য বলিয়। থাকেন কিন্তু তাহারদিগের অকর্ম্মণ্য হইবার কারণ যে তাহারদিগের প্রতি দারোগাদিগের অত্যাচার তাহা বিবেচনা করেন না। যখন দারোগাদিগের ইচ্ছা হয়, যখন তাহারদিগের লাভের সময় উপস্থিত হয়, তখনই সেই চৌকীদারদিগের প্রতি হস্ত নিক্ষেপ করে। যে সকল বিষয় লিখিত হইল তদ্ব্যতীত ইহাও উল্লেখ্য যে চৌকীদারকে কর্ম্মে নিযুক্ত করিতে অবহেলা করা কি