তাঁহারদিগের জরিমানাও হয় না। আমারদিগের বোধ হয়, যে কোন দেশের নিয়মকর্ত্তার এমত সন্দেহও নাই, যে যাহারদিগের উপর কর্ম্মচারি নিযুক্ত করিবার ভার, তাহারা যোগ্যপাত্রকে কর্ম্ম না দিয়া অযোগ্য পাত্রকে দিবেক। অতএব ইহা আমারদিগের বুদ্ধির অগোচর, যে কি নিমিত্তে ভারতবর্ষের শাসনকর্তারা এই নিয়মের তৃতীয় ধারাতে এ প্রকার অন্যায় ও অযোগ্য সন্দেহ কল্পনা করিয়াছেন।
১২। ভূম্যধিকারিরা যাহারদিগকে চৌকীদারি কর্ম্মে নিযুক্ত করিয়াছেন, তাহারা পূর্ব্বে ডাকাইতি করিয়াছে, এমত কাহারও জ্ঞাতসার থাকিলে বা সন্দেহ হইলে তাঁহারা দণ্ডনীয় হইবেন। ইহা অত্যন্ত আশ্চর্য্যের বিষয়, যে যখন নিয়মকর্ত্তারা এই বিধান করিতেছেন, তখন এমন কোন নিয়ম করেন নাই, যে কোন ব্যক্তির জ্ঞাতসার ও সন্দেহ হইলে ভূম্যধিকারিদিগের দোষ সাব্যস্ত হইবেক। যদি রাজনিয়মের এমন মর্ম্ম হইত, যে ভূম্যকিকারিরা স্বয়ং জানিয়া অপরাধিদিগকে কর্ম্মে নিযুক্ত করিলে দণ্ডনীয় হইবেন, তাহা হইলে বাক্যবিন্যাস স্বতন্ত্র হইত এবং ঐ নিয়মের ন্যায়ানুগতত্বও থাকিত। কিন্তু যে ধারাতে জরিমানার কথার উল্লেখ আছে, তাহার যেরূপ বাক্যবিন্যাস, তাহাতে কেবল এই অর্থ নিষ্পন্ন হয়, যে ভূম্যধিকারিরা যে সকল নিয়োগ করিবেন, সেই নিযোজিত করিবার দশ বা বিংশতি বৎসর পরেও যদি কেহ শপথ করিয়া বলে, যে গ্রামের অমুক চৌকীদার কর্ম্মে নিযুক্ত হইবার দশ কি বিশ বৎসর পূর্ব্বে ভারতবর্ষের অমুক প্রদেশে ডাকাইতি করিয়াছিল, আমি জ্ঞাত আছি