চাহিয়াছিল, রমেশ শুধু সেই হিন্দুস্থানীটার গায়ের জোরে কেমন করিয়া কি করে! সে নিজেই যে কত বড় লাঠিয়াল, এ কথা রমা স্বপ্নেও কল্পনা করে নাই।
আক্বর রমার মুখের প্রতি চাহিয়া কহিল,—“তখন ছোট বাবু সেই ব্যাটার লাঠি তুলে নিয়ে বাঁধ আটক ক’রে দাঁড়াল দিদিঠাক্রাণ, তিন ব্যাপ-ব্যাটায় মোরা হটাতে নার্লাম। আঁধারে বাঘের মত তেনার চোখ জ্বল্তি লাগ্ল। কইলেন, আক্বর, বুড়োমানুষ তুই, সরে যা। বাঁধ কেটে না দিলে সারাগাঁয়ের লোক মারা পড়্বে, তাই কেট্তেই হবে। তোর আপনার গাঁয়েও ত জমিজমা আছে, সম্ঝে দেখ রে, সব বরবাদ হ’য়ে গেলে তোর ক্যামন লাগে?” মুই সেলাম ক’রে কইলাম, “আল্লার কিরে ছোটবাবু, তুমি একটিবার পথ ছাড়। তোমার আড়ালে দেঁড়িয়ে ঐ যে ক’ সম্মুন্দি মুয়ে কাপড় জড়ায়ে ঝপাঝপ্ কোদাল মার্চে, ওদের মুণ্ডু ক’টা ফাঁক ক’রে দিয়ে যাই!” বেণী রাগ সাম্লাইতে না পারিয়া কথার মাঝ্খানেই চেঁচাইয়া কহিল,—“বেইমান ব্যাটারা—তাকে সেলাম বাজিয়ে এসে এখানে চালাকি মারা হ’চ্চে—”
তাহারা তিন বাপবেটাই একেবারে একসঙ্গে হাত তুলিয়া উঠিল। আক্বর কর্কশকণ্ঠে কহিল,—“খবরদার বড়বাবু, বেইমান কোয়ো না; মোরা মোছলমানের ছ্যালে, সব সইতে পারি,—ও পারি না।” কপালে হাত দিয়া খানিকটা রক্ত মুছিয়া ফেলিয়া রমাকে উদ্দেশ করিয়া কহিল,—“অ্যারে