জানিনে।” একবার রমার ওষ্ঠাধর কাঁপিয়া উঠিল, একবার তাহার মনে পড়িল, পুলিশে সে দিন তাহার নিজের অভিযোগ করা, তার পরই সে হঠাৎ কাঁদিয়া ফেলিয়া বলিল,—“আমি যাব না।” রমেশ বিস্ময়ে মুহূর্ত্তকাল অবাক্ থাকিয়া বলিল,—“ছি—এখানে থাক্তেই নেই রমা-শীগ্গীর বেরিয়ে যাও।”—বলিয়া আর কোন কথা না শুনিয়া, যতীনের হাত ধরিয়া, জোর করিয়া টানিয়া, এই দুটি ভাইবোন্কে খিড়কির পথে বাহির করিয়া দিয়া দ্বার রুদ্ধ করিয়া দিল।
আজ দুই মাস হইতে চলিল, কয়েকজন ডাকাতির আসামীর সঙ্গে ভজুয়া হাজতে। সেদিন খানাতল্লাসিতে রমেশের বাড়ীতে সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায় নাই, এবং ভৈরব আচার্য্য সাক্ষ্য দিয়াছিল, সে রাত্রে ভজুয়া তাঁহার সঙ্গে তাঁহার মেয়ের পাত্র দেখিতে গিয়াছিল। তথাপি তাহাকে জামিনে খালাস দেওয়া হয় নাই। বেণী আসিয়া কহিল,—“রমা, অনেক চা’ল ভেবে তবে কাজ কর্তে হয় দিদি, নইলে কি শত্রুকে সহজে জব্দ করা যায়! সে দিন মনিবের হুকুমে যে ভজুয়া লাঠি হাতে ক’রে বাড়ী চড়াও হয়ে, মাছ আদায় কর্তে এসেছিল, সে কথা যদি না তুমি থানায় লিখিয়ে রাখ্তে, আজ কি তা হ’লে ঐ ব্যাটাকে এমন কায়দায় পাওয়া যেত! অমনি ঐ সঙ্গে রমেশের নামটাও যদি আরও দু’কথা বাড়িয়ে গুছিয়ে লিখিয়ে দিতিস্