নজরে তাকে খাড়া ক’রে দিয়েচ বোন্, এতেই তাকে শেষ পর্য্যন্ত শেষ হ’তে হবে; তা’ বলে দিচ্চি।” বলিয়া বেণী মনে মনে একটু আশ্চর্য্য হইয়াই লক্ষ্য করিল, সংবাদটা শোনাইয়া তাহার কাছে যেরূপ উৎসাহ ও উত্তেজনা আশা করা গিয়াছিল, তাহার কিছুই পাওয়া গেল না। বরঞ্চ মনে হইল, সে হঠাৎ যেন একেবারে বিবর্ণ হইয়া গিয়া প্রশ্ন করিল,—“আমি লিখিয়ে দিয়েছিলাম, রমেশদা’ জান্তে পেরেছেন?” বেণী কহিল,—“ঠিক জানিনে। কিন্তু, জান্তে পার্বেই। ভজুয়ার মকদ্দমায় সব কথাই উঠবে।” রমা আর কোন কথা কহিল না। চুপ করিয়া ভিতরে-ভিতরে সে যেন একটা বড় আঘাত সামলাইতে লাগিল—তাহার কেবলই মনে উঠিতে লাগিল, রমেশকে বিপদে ফেলিতে সেই যে সকলের অগ্রণী, এই সংবাদটা আর রমেশের অগোচর রহিবে না। খানিক পরে মুখ তুলিয়া জিজ্ঞাসা করিল,—“আজকাল ওঁর নাম বুঝি সকলের মুখেই বড়দা?” বেণী কহিল,—“শুধু আমাদের গ্রামেই নয়, শুনচি, ওর দেখাদেখি আরও পাঁচছ’টা গ্রামে স্কুল কর্বার, রাস্তা তৈরি কর্বার আয়োজন হচ্চে। আজকাল ছোটলোকেরা সবাই বলাবলি কর্চে, সাহেবদের দেশে গ্রামে গ্রামে একটা দুটো ইস্কুল আছে বলেই ওদের এত উন্নতি। রমেশ প্রচার ক’রে দিয়েচে, যেখানেই নূতন ইস্কুল হবে, সেইখানেই ও দু’শ ক’রে টাকা দেবে।” ওর দাদামশায়ের যত টাকা পেয়েচে, সমস্তই ও এইতে ব্যয় কর্বে। মোচলমানেরা ত ওকে একটা