এলে কোন্ সাহসে? একজন দাসী পর্য্যন্ত সঙ্গে ক’রে আননি!” রমা তেম্নি মৃদু স্বরে কহিল,—“তাতেই বা কি হ’ত? সেও ত আমাকে তোমার হাত থেকে রক্ষা ক’র্তে পার্ত না!” “তা না পারুক, লোকের মিথ্যা দুর্নাম থেকে ত বাঁচাতে পারত! রাত্রি কম হয়নি রাণি!” সেই বহুদিনের বিস্মৃত নাম! সহসা কি একটা বলিবার জন্য রমার অত্যন্ত আবেগ উপস্থিত হইল, কিন্তু সে সংবরণ করিয়া ফেলিল। তাঁর পর শুধু কহিল,—“তাতেও ফল হ’ত না রমেশদা’! অন্ধকার রাত্রি নয়—আমি বেশ যেতে পারব।” বলিয়া আর কোন কথার জন্য অপেক্ষা না করিয়া ধীরে ধীরে বাহির হইয়া গেল।
প্রতি বৎসর রমা ঘটা করিয়া দুর্গোৎসব করিত এবং প্রথম পূজার দিনেই গ্রামের সমস্ত চাষাভুষা প্রভৃতিকে পরিতোষ পূর্ব্বক ভোজন করাইত। ব্রাহ্মণ-বাটীতে মায়ের প্রসাদ পাইবার জন্য এমনি হুড়ামুড়ি পড়িয়া যাইত যে, রাত্রি একপ্রহর পর্য্যন্ত ভাঁড়ে-পাতায় এঁটোতে-কাঁটাতে বাড়ীতে পা ফেলিবার জায়গা থাকিত না। শুধু হিন্দু নয়, পীরপুরের প্রজারাও ভিড় করিতে ছাড়িত না। এবারও সে নিজে অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও আয়োজনের ত্রুটী করে নাই। চণ্ডীমণ্ডপে প্রতিমা ও পূজার সাজ-সরঞ্জাম। নীচে উৎসবের প্রশস্ত প্রাঙ্গণ। সপ্তমীপূজা যথাসময়ে সমাধা হইয়া গিয়াছে। ক্রমে