তবে, তেল বেচ্তে এসেছিল। তার নিজের রাগ একটুও ছিল না, মা, তাই তার বাঁকের এক ঘায়েই বেণী যখন অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল, তখন চুপ ক’রে দাঁড়িয়ে রইল,—আর আঘাত কর্লে না। তা’ ছাড়া সে ব’লে গেছে, এর পরেও বেণী সাবধান না হ’লে, সে নিজে আর কখনো ফিরুক, না ফিরুক, এই মারই তার শেষ মার নয়।” রমা আস্তে আস্তে বলিল,—“তার মানে আরও লোক পিছনে আছে। কিন্তু, আমাদের দেশে ছোটলোকের এত সাহস ত কোন দিন ছিল না জ্যাঠাইমা, কোথা থেকে এ তারা পেলে?” বিশ্বেশ্বরী মৃদু হাসিয়া কহিলেন,—“সে কি তুই নিজে জানিস্ নে, মা, কে দেশের এই ছোটলোকদের বুক এমন ক’রে ভরে দিয়ে গেছে? আগুন জ্বলে উঠে শুধু শুধু নেবে না রমা! তাকে জোর ক’রে নেবালেও সে আশেপাশের জিনিষ তাতিয়ে দিয়ে যায়। সে আমার ফিরে এসে দীর্ঘজীবী হয়ে যেখানে খুসি সেখানে থাক; বেণীর কথা মনে ক’রে আমি কোন দিন দীর্ঘশ্বাস ফেলব না।” কিন্তু, বলা সত্ত্বেও বিশ্বেশ্বরী যে জোর করিয়াই একটা নিঃশ্বাস চাপিয়া ফেলিলেন, রমা তাহা টের পাইল। তাই তাঁহার হাতখানি বুকের উপর টানিয়া লইয়া স্থির হইয়া রহিল। একটুখানি সামলাইয়া লইয়া বিশ্বেশ্বরী পুনশ্চ কহিলেন,—“রমা, এক সন্তান যে কি, সে শুধু মায়েই জানে। বেণীকে যখন তারা অচৈতন্য অবস্থায় ধরাধরি ক’রে