পাল্কিতে তুলে হাঁসপাতালে নিয়ে গেল, তখন যে আমার কি হয়েছিল, সে তোমাকে আমি বোঝাতে পার্ব না। কিন্তু, তবুও আমি কারুকে একটা অভিসম্পাত বা কোন লোককে আমি দোষ দিতে পর্য্যন্ত পারিনি। এ কথা ত ভুল্তে পারিনি, মা, যে এক সন্তান ব’লে ধর্ম্মের শাসন ত মায়ের মুখ চেয়ে চুপ ক’রে থাকবে না।” রমা একটুখানি ভাবিয়া কহিল,—“তোমার সঙ্গে তর্ক কর্চিনে জ্যাঠাইমা; কিন্তু, এই যদি হয়, তবে, রমেশ-দা’ কোন্ পাপে এ দুঃখভোগ কর্চেন? আমরা যা’ ক’রে তাঁকে জেলে পূরে দিয়ে এসেচি, সে ত কারো কাছেই চাপা নেই।” জ্যাঠাইমা বলিলেন,—“না মা, তা’ নেই। নেই বলেই বেণী আজ হাঁসপাতালে। আর তোমার—” বলিয়া তিনি সহসা থামিয়া গেলেন। যে কথা তাঁহার জিহ্বাগ্রে আসিয়া পড়িল, তাহা জোর করিয়া ভিতরে ঠেলিয়া দিয়া কহিলেন,—“কি জানিস্ মা, কোন কাজই কোন দিন শুধু শুধু শূন্যে মিলিয়ে যায় না। তার শক্তি কোথাও-না-কোথাও গিয়ে কাজ করেই। কিন্তু, কি কোরে করে, তা’ সকল সময়ে ধরা পড়ে না বলেই আজ পর্য্যন্ত এ সমস্যার মীমাংসা হ’তে পার্লে না, কেন একজনের পাপে আর একজন প্রায়শ্চিত্ত করে। কিন্তু, কর্তে যে হয় রমা, তাতে ত লেশমাত্র সন্দেহ নাই।” রমা নিজের ব্যবহার স্মরণ করিয়া নীরবে নিঃশ্বাস ফেলিল। বিশ্বেশ্বরী বলিতে লাগিলেন,—“এর থেকে আমারও চোখ