ফুটেচে রমা, ভাল কর্ব বল্লেই ভাল করা যায় না। গোড়ার অনেকগুলো ছোটবড় সিঁড়ি উত্তীর্ণ হবার ধৈর্য্য থাকা চাই। একদিন রমেশ হতাশ হয়ে আমাকে বল্তে এসেছিল, ‘জ্যাঠাইমা, আমার কাজ নেই এদের ভাল ক’রে, আমি যেখান থেকে চলে এসেছি, সেইখানেই চ’লে যাই।’ তখন আমি বাধা দিয়ে বলেছিলাম, ‘না রমেশ, কাজ যদি সুরু করেচিস্ বাবা, তবে ছেড়ে দিয়ে পালাস্নে।’ আমার কথা সে ত কখনো ঠেল্তে পারে না; তাই, যে দিন তার জেলের হুকুম শুন্তে পেলাম, সে দিন মনে হ’ল, ঠিক যেন আমিই তাকে ধরে-বেঁধে এই শাস্তি দিলাম। কিন্তু, তার পর বেণীকে যেদিন হাঁসপাতালে নিয়ে গেল, সে দিন প্রথম টের পেলাম,—না, না, তারও জেল খাট্বার প্রয়োজন ছিল। তা’ ছাড়া ত জানিনি মা, বাইরে থেকে ছুটে এসে ভাল কর্তে যাওয়ার বিড়ম্বনা এত,—সে কাজ এমন কঠিন! আগে যে মিল্তে হয়, সকলের সঙ্গে ভালতে-মন্দতে এক না হ’তে পার্লে যে কিছুতেই ভাল করা যায় না—সে কথা ত মনেও ভাবিনি। প্রথম থেকেই সে তার শিক্ষা, সংস্কার, মস্ত জোর, মস্ত প্রাণ নিয়ে এতই উঁচুতে এসে দাঁড়াল যে, শেষ পর্য্যন্ত কেউ তার নাগালই পেলে না। কিন্তু সে ত আমার চোখে পড়ল না মা, আমি তাকে যেতেও দিলাম না, রাখ্তেও পারলাম না।” রমা কি একটা বলিতে গিয়া চাপিয়া গেল। বিশ্বেশ্বরী তাহা অনুমান