বৈ ত নয়!” ধর্ম্মদাসের কিছুতেই কাসি থামে না, সে কাসিতেই লাগিল, আর তাহার মুখের সাম্নে গাঙ্গুলী মশাই বেশ বেশ কথাগুলি অপরিপক্ক তরুণ জমিদারটিকে বলিয়া যাইতে লাগিলেন দেখিয়া, ধর্ম্মদাস আরও ভাল কিছু বলিবার চেষ্টায় যেন আকুলি-বিকুলি করিতে লাগিল।
গাঙ্গুলী বলিতে লাগিল, “তুমি ত আমার পর নও বাবা,—নিতান্ত আপনার। তোমার মা যে আমার একেবারে সাক্ষাৎ পিসতুত বোনের মামাত ভগিনী। রাধানগরের বাঁড়ুয্যে-বাড়ী—সে সব তারিণী দা’ জান্তেন। তাই যে কোন কাজকর্ম্মে—মামলা-মোকদ্দমা কর্তে, সাক্ষী দিতে—ডাক্ গোবিন্দকে!” ধর্ম্মদাস প্রাণপণবলে কাসি থামাইয়া খিঁচাইয়া উঠিলেন; “কেন, বাজে বকিস্ গোবিন্দ? খক্—খক্—খক্—আমি আজকের নয়—না জানি কি? সে বছর সাক্ষী দেবার কথায় বল্লি, ‘আমার জুতো নেই, খালি-পায়ে যাই কি ক’রে? খক্—খক্—তারিণী অম্নি আড়াই-টাকা দিয়ে একজোড়া জুতো কিনে দিল। তুই সেই পায়ে দিয়ে বেণীর হয়ে সাক্ষী দিয়ে এলি! খক্-খক্-খক্-খ—” গোবিন্দ চক্ষু রক্তবর্ণ করিয়া কহিল, “এলুম?”
“এলিনে?”
“দূর মিথ্যাবাদী!”
“মিথ্যাবাদী তোর বাবা!”
গোবিন্দ তাহার ভাঙা-ছাতি হাতে করিয়া লাফাইয়া