পারিল না। গোবিন্দ গাঙুলী বসিয়াছিল, মীমাংসা করিতে উঠিয়া দাঁড়াইল। একবার রমেশের দিকে, একবার প্রৌঢ়ার দিকে চাহিয়া গম্ভীর গলায় কহিল, “যদি আমার নাম্টাই কর্লে, ক্ষান্তমাসী, তবে সত্যি কথা বলি, বাছা! খাতিরে কথা কইবার লোক এই গোবিন্দ গাঙুলী নয়। সে দেশ শুদ্ধ লোক জানে। তোমার মেয়ের প্রাশ্চিত্যও হয়েচে, সামাজিক জরিমানাও আমরা করেছি—সব মানি। কিন্তু তাকে যজ্ঞিতে কাঠি দিতে ত আমরা হুকুম দিইনি! মর্লে ওকে পোড়াতে আমরা কাঁধ দেব, কিন্তু—” ক্ষান্তমাসী চীৎকার করিয়া উঠিল, “ম’লে তোমার নিজের মেয়েকে কাঁধে ক’রে পুড়িয়ে এসো বাছা—আমার মেয়ের ভাবনা তোমাকে ভাব্তে হবে না। বলি, হাঁ গোবিন্দ, নিজের গায়ে হাত দিয়ে কি কথা কও না? তোমার ছোট–ভাজ যে ঐ ভাঁড়ার ঘরে বসে পান সাজ্চে, সে আর বছর মাসদেড়েক ধ’রে কোন্ কাশীবাস ক’রে অমন হল্দে রোগা শল্তেটির মত হয়ে ফিরে এসেছিল, শুনি? সে বড়লোকের বড় কথা বুঝি? বেশী ঘেঁটিয়ো না, বাপু, আমি সব জারিজুরি ভেঙে দিতে পারি। আমরাও ছেলেমেয়ে পেটে ধরেচি, আমরা চিন্তে পারি। আমাদের চোখে ধূলো দেওয়া যায় না।” গোবিন্দ ক্ষ্যাপার মত ঝাঁপাইয়া পড়িল—“তবে রে, হারামজাদা মাগী—” কিন্তু হারামজাদা মাগী একটুও ভয় পাইল না, বরং এক পা আগাইয়া আসিয়া হাতমুখ ঘুরাইয়া কহিল, “মারবি না কি রে? ক্ষেন্তিবাম্নিকে ঘাঁটালে ঠগ্