চারখানা দিতে পার্ব। সে যাই হোক্, বাবা, কেন যে দেশসুদ্ধ লোক ওকে গিন্নী-মা ব’লে ডাকে, তা’ আজ বুঝ্লুম।” রমেশ তাহার কোন উত্তর না করিয়া সঙ্গে সঙ্গে ফটকের ধার পর্য্যন্ত আসিয়া হঠাৎ প্রশ্ন করিল, “আচ্ছা ভট্চায্যি মশাই, আপনি ত এদিকের সমস্তই জানেন, এ গাঁয়ে এত রেষারেষি কেন বল্তে পারেন?” দীনু মুখে একটা আওয়াজ করিয়া বার দুই ঘাড় নাড়িয়া বলিল, “হায় রে বাবাজী, আমাদের কুঁয়াপুর ত পদে আছে। যে কাণ্ড এ ক’দিন ধরে খেঁদির মামার বাড়ীতে দেখে এলুম! বিশঘর বামুন-কায়েতের বাস নেই, গাঁয়ের মধ্যে কিন্ত চারটে দল! হরনাথ বিশ্বেস, দুটো বিলিতি আমড়া পেড়েছিল বলে তার আপনার ভাগ্নেকে জেলে দিয়ে তবে ছাড়লে। সমস্ত গ্রামই, বাবা, এই রকম—তা’ ছাড়া মাম্লায় মাম্লায় একেবারে শতচ্ছিদ্র! খেঁদি, হরিধনের হাতটা একবার বদলে নে, মা।” রমেশ আবার জিজ্ঞাসা করিল, “এর কি কোন প্রতীকার নেই’ ভট্চায্যিমশাই?” “প্রতীকার আর কি ক’রে হবে, বাবা—এ যে ঘোর কলি!” ভট্টাচার্য্য একটা নিশ্বাস ফেলিয়া কহিল, “তবে একটা কথা ব’ল্তে পারি বাবাজী। আমি ভিক্ষেসিক্ষে ক’র্তে অনেক জায়গাতেই ত যাই—অনেকে অনুগ্রহও করেন। আমি বেশ দেখেচি, তোমাদের ছেলেছোকরাদের দয়াধর্ম্ম আছে—নেই কেবল বুড়ো ব্যাটাদের। এরা একটু বাগে পেলে আর একজনের গলায় পা দিয়ে জিভ বার না ক’রে আর ছেড়ে দেয় না।” বলিয়া