পাতা:পল্লী-সমাজ.djvu/৭৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৭১
পল্লী-সমাজ


হইল। প্রাঙ্গণের উপর মহাকোলাহল। মাছ নিতান্ত কম ধরা পড়ে নাই—একটা ঝুড়ির প্রায় একঝুড়ি। ভাগ করিবার জন্য বেণী নিজেই হাজির হইয়াছেন। পাড়ার ছেলে-মেয়েরা আর কোথাও নাই—সঙ্গে সঙ্গে আসিয়া ঘিরিয়া দাঁড়াইয়া গোলমাল করিতেছে।

 কাসির শব্দ শোনা গেল। পরক্ষণেই, “কি মাছ পড়ল হে বেণী!” বলিয়া লাঠি হাতে ধর্ম্মদাস প্রবেশ করিলেন। “তেমন আর কই পড়্‌ল!” বলিয়া বেণী মুখখানা অপ্রসন্ন করিল। জেলেকে ডাকিয়া কহিল, “আর দেরি করচিস্ কেন রে? শীগ্‌গীর ক’রে দুভাগ ক’রে ফেল না।” জেলে ভাগ করিতে প্রবৃত্ত হইল।

 “কি হচ্চে গো রমা? অনেকদিন আস্‌তে পারিনি। বলি, মায়ের আমার খবরটা একবার নিয়ে যাই”— বলিয়া গোবিন্দ গাঙুলী বাড়ী ঢুকিলেন। “আসুন”—বলিয়া রমা মুখ টিপিয়া একটুখানি হাসিল। “এত ভিড় কিসের গো?” বলিয়া গাঙুলী অগ্রসর হইয়া আসিয়া হঠাৎ যেন আশ্চর্য্য হইয়া গেলেন—“ইস্‌! তাই ত গা—মাছ বড় মন্দ ধরা পড়েনি দেখ্‌চি। বড়পুকুরে জাল দেওয়া হ’ল বুঝি?” এ সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সকলেই বাহুল্য মনে করিয়া মৎস্য-বিভাগের প্রতি ঝুঁকিয়া রহিল এবং অল্পক্ষণের মধ্যেই তাহা সমাধা হইয়া গেল। বেণী নিজের অংশের প্রায় সমস্তটুকুই চাকরের মাথায় তুলিয়া দিয়া ধীবরের প্রতি একটা গোপন চোখের ইঙ্গিত করিয়া, গৃহে প্রত্যা-