যাচ্ছে, ছাইভস্ম যা আছে শীগ্গির দাও, কোনরকমে নাকে-মুখে দুটো গুঁজে এখন আপিসে গিয়ে পৌঁছতে পাল্লে বাঁচি।” প্রিয়নাথ ধুপ করিয়া পিড়ির উপরে বসিয়া পড়িল।
সুরবালা, একটি নিঃশ্বাস ফেলিয়া বলিল, “কিছু যে হয়নি, খাবে কি দিয়ে?”
“তবে অদেষ্টে আজ নিরেট্ উপোস! ভাতও হয়নি নাকি?”
“হ্যাঁ, ভাত হয়েচে বৈকি! ডালও হ'ল,—আলু ভাতে, কাঁচকলা ভা-”
“ব্যস্, ব্যস্-এ যে একটা যজ্ঞির ব্যাপার! আবার কি চাই? কেরাণী আবার কি খাবে? দাও, দাও—চট্পট্ দাও।”
পাঁচ মিনিটে খাওয়া শেষ করিয়া, এক এক লাফে তিন-তিনটা সিঁড়ি ডিঙ্গাইয়া প্রিয়নাথ উপরে উঠিল। তাড়াতাড়ি এদিক্-সেদিক্ চাহিয়া সে ননা চড়াইয়া ডাকিল, “ওগো—জল্দি।”
সুরবালা ত্রস্তপদে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কি গা?”
“কাপড়, কাপড়, আমার কাপড়!”
সুরবালা জিভ্ কাটিয়া বলিল, “ঐ যাঃ! তোমায় বল্তে ভুলে গেচি তোমার কাপড়ে যে খোকা মুতে দিয়েছে, এখনো শুকোয় নি।”
প্রিয়নাথ কর্কশকণ্ঠে কহিল, “আমার চাক্রিটি তোমরা খাবার ফিকিরে আছ? তার চেয়ে আমায় খাওনা কেন, একদম সব ন্যাটা চুকে যাক্।”
সেই সময়ে ক্ষুদে আসামীটি সুমুখ দিয়া যাইতে ছিল। প্রিয়নাথ হুঙ্কার দিয়া বলিল, “এই হারামজাদা, এদিকে আয়ত দেখি।”
খোকা ভয়ে নীলবর্ণ হইয়া আস্তে আস্তে অনিচ্ছাসত্ত্বেও কাছে আসিয়া