“বেণু?”
পাখার হাওয়া থেমে গেল।
“বেণু কথা কও!”
অতি মৃদু—কম্পিত স্বরে উত্তর পেলাম, “কি বল্চ?”
“তুমি কাঁদ্চ কেন?”
“কাঁদি নি।”
“মিছে কথা বোল না।”
ভয়ে-ভয়ে বাধো-বাধো গলায় বেণু বল্লে, “আর,— আর কাঁদ্ব না।”
আমি চুপ করে রৈলাম। তখন কি ভাবছিলাম, তা আর আমার মনে নেই।
অনেকক্ষণ পরে জিজ্ঞাসা করলাম, “এত রাত পর্য্যন্ত তুমি জেগে আছ কেন?”
“তোমার যে জ্বর হয়েচে!”
“আমার জ্বর, তাতে তোমার কি?”
উত্তর পেলাম না। তার বদলে আমার কপালে দু-ফোঁটা জল পড়্ল। যে চোখে দৃষ্টি নেই, সে চোখেও ব্যথার অশ্রু থাকে! ভগবান! দু-বিন্দু অশ্রু মনের কথা এমন করে খুলে বল্তে পারে?
আমার মনটা কি-রকম হয়ে গেল,—আমি দুহাত বাড়িয়ে বেণুকে আমার বুকের উপরে টেনে নিলাম। তার মুখে আমার মুখ রেখে চুম্বন করলাম। বেণু অস্ফুটস্বরে কি বল্লে। তার সারা দেহ থর্থর্ করে একবার কেঁপে উঠল। তার মাথাটি আমার কাঁধের উপরে এলিয়ে