পাতা:পসরা - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সোণার চুড়ী

 অমলা যখন এতটুকু মেয়ে, তখন এক দৈবজ্ঞ ব্রাহ্মণ বলিয়াছি, “এ মেয়ে রাজরাণী হবে।” অমলার রাণীর মত রূপ দেখিয়া দৈবজ্ঞ একথা বলিয়াছিল, না তার ভাগ্যলিপি পড়িয়া এরূপ ভবিষ্যদ্বাণী করিয়াছিল, সেটা আগে কেহ ভাবিয়া দেখে নাই। তবে কথাটা শুনিয়া অমলার বাপ হাসিয়াছিলেন, তার বিধবা পিসী অমলার মৃত মাকে স্মরণ করিয়া কাঁদিয়াছিলেন এবং “দক্ষিণায় পূর্ণহস্ত” হইয়া দৈবজ্ঞ ঠাকুর সহর্ষে গৃহে ফিরিয়াছিলেন।

 কলিতেও ব্রাহ্মণ-বাক্য মিথ্যা হইবার নহে। তবে কল্পনার রাজা, খাটো হইয়া বাস্তবে রাজেন্দ্রে পরিণত হইল। বাঙ্গলা দেশে তাঁহার কন্যার করপ্রার্থী রাজামহারাজার অন্যায় এবং আশ্চর্য্যরকমের অভাব দেখিয়া অমলার পিতা শেষটা বাধ্য হইয়া রেলোয়ে অফিসের পঁয়ত্রিশটাকা মাহিনার কেরাণী রাজেন্দ্রবাবুর হাতে মেয়েকে সঁপিয়া দিলেন। কন্যাদায় হইতে উদ্ধার পাইয়া অমলার বাপ আর একবার হাসিলেন। অমলার মৃত মাকে স্মরণ করিয়া পিসীমা আর একবার কাঁদিলেন এবং লুচির কোণ্‌ ভাঙ্গিতে

১২৭