“তাই বল বাছা, তাই বল! ওসব—”
কথা শেষ হইবার আগেই অমলা সেখান হইতে চলিয়া যাইত
ঘ
মুখে অমলা যাই বলুক, মনে-মনে সে বড় সুখী ছিল না। হাজার হোক মানুষের মন ত!
সেদিন অমলার এক আত্মীয়ের বাড়ী হইতে বিয়ের এক নিমন্ত্রণ আসিল।
রাজেন্দ্রের কাছে গিয়া অমলা বলিল, “ওগো, আইবুড়ো-ভাতের কাপড় আর মিষ্টি পাঠাতে হবে যে!”
রাজেন্দ্র বিরক্ত হইয়া বলিল, “পয়সা কোথায়?”
অমলা বলিল, “সংসার কর্ত্তে গেলে এ-রকম দু’একটা বাজে-খরচ না করলে চলবে কেন? মান বাঁচিয়ে চল্তে হবে ত!”
“চুলোয় যাক্ মান! মান কি আছে, যে রাখ্বে? লেখাপড়া শিখে যেদিন সায়েবের বুটের তলায় দাসখৎ লিখে দিয়েছি, সেইদিনই যে মানে ছাতা ধরে গেছে! তোমার পয়সা থাকে, তুমি আইবুড়ো-ভাতের তত্ত্ব পাঠাও!”
“আমি কোথায় পয়সা পাব?”
“তবে তত্ত্বের কথা ভুলে যাও।”
“তারা কি মনে কর্বে?”
“গণৎকার হলে সে কথা আগে থাক্তে তোমাকে গুণে বলে দিতে পার্ত্তাম।”