অমলা, উনানের আঁচ, একটু কমাইয়া দিয়া বলিল, “আর কোথায় কাজ করিস্ তুই?”
“এই তোমাদের সামনের বাড়ীতে।”
অমলা চমকিয়া উঠিল। উনান হইতে চাটুখানা নামাইয়া, মনের চাঞ্চল্য মনেই চাপিয়া সহজস্বর সে বলিল, “ওখান থেকে কত মাইনে পাস্?”
“সকালে-বিকেলে যাই, পাঁচটাকা করে দেয়।”-
অমলার চম্কানি ঝীয়ের নজর এড়ায় নাই। কিন্তু, সেকথা নিয়া কিছু বলিল না— আপনমনে সে মৃদু-মৃদু হাসিলমাত্র।
অমলা খুন্তি দিয়া একখানা রুটি কড়ার উপরে উল্টাইয়া দিতে লাগিল। খানিক ইতস্তত করিয়া বলিল, “হাঁরে, ও-বাড়ীতে কে থাকে?”
“এক জমিদারের ছেলে গো!”
“আর কে?”
“বাবুর মা, বিধবা বোন আর এক খুড়তুতো ভাই।”
“বাবুর বৌ থাকে না?”
“বাবুর বিয়ে ত হয় নি।”
“অত বয়েস হয়েছে, বিয়ে হয়নি কিলো?”
“বাবুকে তুমি কি করে দেখ্লে দিদি?”
অমলার মুখ কালিপানা হইয়া গেল। তাড়াতাড়ি আপনাকে সামলাইয়া বলিল, “হ্যাঁরে, ওরা বুঝি খুব বড়মানুষ?”
ঝি চোখ ঘুরাইয়া বলিল, “ওমা, তা আবার নয় দিদি! বড়মানুষ