স্মৃতির শ্মশানে
ক
সুখেন্দুর সঙ্গে ডাক্তার বরেন্দ্রনাথের আলাপ হইয়াছিল, তাহার সাহিত্য-চর্চ্চার ফলে।
গল্প লিখিয়া সুখেন্দু অল্প নাম করে নাই। সত্য বলিতে কি, তাহাকে লইয়া বাঙ্গলা মাসিকের সম্পাদকগণের ভিতরে দস্তুরমত · ‘টাগ্ অফ্ ওয়ার’ বাঁধিয়া গিয়াছিল। এর কারণ আর কিছুই নয়, আজকাল বাঙ্গলা সাহিত্যে ভাল ছোটগল্প “ডুমুরের ফুলের” মত দুষ্প্রাপ্য হইয়া পড়িয়াছে; অথচ মাসিকের পাঠক চায় খালি গল্প আর গল্প!
অতএব হঠাৎ যদি কোন ‘একজন ভাল গল্পলিখিয়ের খোঁজ পাওয়া যায়, সম্পাদকদের ভিতরে তবে ‘দেহি দেহি’ রব উঠিতেও দেরি হয় না। এবং নিলামে যেমন নানাদিক্ হইতে দর-হাঁকাহাঁকি হইতে থাকে, এখানেও তেমনি একপক্ষ হাঁকেন যত টাকা, অন্য পক্ষ হাঁকেন তার দ্বিগুণ, আর এক পক্ষ ত্রিগুণ। দর যাঁর বেশী, মাল পান তিনি।
এই দুর্ভিক্ষের বাজারে, সুখেন্দু বেশ অল্পদিনের ভিতরেই নাম জাহির করিতে পারিয়াছিল এবং সুখেন্দুর সাহিত্য-কুঞ্জের ভিতরে বাণীর বীণাগুঞ্জনের তালে তালে কমলার রজত-চক্রের মধুর শিঞ্জিনী উঠিয়া তাহার প্রাণ-মন তৃপ্ত করিয়া দিত।
নাম হইলে লেখক সমাজে দুর্মুখ শত্রু বাড়ে বঢ়ে, কিন্তু সুখের কথা এই যে, পাঠক-সমাজে সেই সঙ্গে মিষ্টমুখ মিত্রের সংখ্যাও বর্দ্ধিত