‘কার্ড’খানা হাতে করিয়া লইয়া সুখেন্দু পড়িল, ‘ডাক্তার বরেন্দ্রনাথ মজুমদার।'
ভৃত্যের দিকে চাহিয়া বলিল, “বাবুকে এখানে নিয়ে আয়।”
ভৃত্য চলিয়া গেলে পর সুখেন্দু আস্তে আস্তে লিখিবার খাতাখানি মুড়িয়া একপাশে রাখিয়া দিল। তাহার পর একটি সিগারেট বাহির করিয়া তাহাতে অগ্নিসংযোগ করিল।
ইতিমধ্যে বরেন্দ্রনাথ সহাস্যমুখে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করিলেন।
সুখেন্দু দাঁড়াইয়া উঠিয়া, তাঁহার দিকে একখানা চেয়ার ঠেলিয়া দিয়া বলি; “বসুন। কেমন আছেন?”
বরেন্দ্রনাথ বসিয়া বলিলেন, “ভাল। আপনি?”
“আমিও তাই।”
বরেন্দ্রনাথের বয়স প্রায় পঁয়তাল্লিশ হইবে।” খুব সুপুরুষ না হইলেও দেখিতে তাঁহাকে মন্দ নয়। বেশ দীর্ঘ দেহ, শ্যামবর্ণ স্বাস্থ্যপূর্ণ সবল আকৃতি। মুখখানি হাসি-হাসি, চোখ দুইটিতে সরলতা যেন উছলিয়া পড়িতেছে।
বরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “একটা সুখবর সুখেন্দুবাবু! দিনরাত সেধে সেধে যাঁর মন পাইনে, আপনি এক মুহূর্ত্তে তাঁর প্রাণ হরণ করেছেন।”
সুখেন্দু হাসিয়া কহিল, “যৌবরাজ্য থেকেত’ অনেক দিন নির্ব্বাসিত হয়েচি, কিন্তু আজ পর্য্যন্ত কারুর প্রাণ ত কৈ হরণ কর্তে পারলুমই না! তা, সেজন্যে আমার বিশেষ কোন দুঃখ নেই, কারণ সকলে সব কাজ পারে না। কিন্তু ব্যাপার কি বলুন দেখি!”
বরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “আপনার ‘প্রেমের পরখ’ নামে গল্পটি পড়ে