আমার স্ত্রী একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেছেন। তাঁর মতে উদীয়মান গল্পলেখকদের ভেতরে আপনি শ্রেষ্ঠ আসন পাবার অধিকারী।”
সুখেন্দু এই প্রশংসায় কিঞ্চিৎ সঙ্কুচিত হইয়া বলিল, “তাঁকে আমার ধন্যবাদ জানিয়ে বলবেন যে, তিনি কখনও ভাল সমালোচক হতে পার্ব্বেন না, কারণ তিনি অত্যুক্তি করেচেন।”
বরেন্দ্রনাথ কহিলেন, “কিছুমাত্র অত্যুক্তি হয় নি—আমারও ঐ মত।”
সুখেন্দু বলিল, “তাহলে আমি নাচার।”
বরেন্দ্রনাথ চেয়ারখানা সামনের দিকে আর একটু সরাইয়া আনিয়া বলিলেন, “আচ্ছা, ও কথা এখন থাক্—আপনার সঙ্গে আমার আর একটা কথা আছে।”
সুখেন্দু সিগারেটে একটি টান দিয়া বলিল, “আমিও শোন্বার জন্যে প্রস্তুত আছি।”
বরেন্দ্রনাথ . বলিলেন, “আপনার হাতে কি আজকাল বেশী কিছু কাজ আছে?”
সুখেন্দু বলিল, “একটা লেখা শেষ কর্ত্তে বাকী আছে বটে। তা সেটা বোধ হয় আজ্কেই শেষ হয়ে যাবে— তারপর কিছুদিন বিশ্রাম কর্ব্ব।”
বরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “তাহলে চলুন না—কিছুদিন বাইরে বেড়িয়ে আসি।”
সুখেন্দু বলিল, “বাইরে! কোথায়?”
“মধুপুরে। এ অনুরোধ শুধুই যে আমার একার, তা মনে করবেন না, আমার স্ত্রীরও এতে বিশেষ ইচ্ছে আছে বলে জানবেন। আপনি