যদি আমাদের সঙ্গে যান, তাহলে আমাদের প্রবাসের দিনগুলো বড় সুখেই কেটে যাবে। কি বলেন?”
সুখেন্দু কিছুক্ষণ চিন্তা করিয়া বলিল, “আপনাদের এই অযাচিত অনুরোধ ঠেল্তে পারি, এমন সাধ্য আমার নেই। বেশ, তাহলে কবে যাচ্ছেন?”
“কাল সকালেই।”
“কাল সকালেই! তাহলে দুদিনের জন্যে আমাকে মাপ কর্ত্তে হবে বরেনবাবু! আপনারা আগেই যান, দুদিন পরে আমি যাব! আপনাদের ঠিকানা কি?”
ঠিকানা বলিয়া বরেন্দ্রনাথ উঠিয়া দাঁড়াইলেন। তারপর বলিলেন, “আজ তবে আসি!”
“আসুন” বলিয়া সুখেন্দুও উঠিয়া দাঁড়াইল।
বরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “তাহলে এই কথাই রৈল—দেখ বেন, ভুল্বেন না!”
একটি নমস্কার করিয়া বরেন্দ্রনাথ চলিয়া গেলেন।
সুখেন্দু জানালার কাছে গিয়া, অন্যমনস্ক ভাবে অনেকক্ষণ বাগানের দিকে তাকাইয়া রহিল। তারপর আপনমনে বলিল, “বরেন্দ্রবাবু সর্ব্বদাই তাঁর স্ত্রীর কথা বলেন। বোধ হয় তাঁর পারিবারিক জীবন খুব সুখের। কেন হবে না! আমার মত একলা আর কে আছে? তবু সাহিত্য আছে বলে বেঁচে আছি—নইলে আমার জীবনটা কি হত!—ওঃ!”
খ
তিনদিন পরে সুখেন্দু মধুপুরে আসিয়া ট্রেন হইতে নামিয়া পড়িল।