পাতা:পসরা - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পসরা

 রণেন্দ্র কহিল, “আমার যে এই মত কোত্থেকে জানলেন আপনি?”

 “তোমার বন্ধুরাই বল্‌ছিল!”

 “না—এ আমার কথা না! তবে এ কথা বলেচি বটে যে, বাঙ্গলা দেশে আমার মত প্রাণ দিয়ে আর কেউ ছবি আঁকে না।”

 “প্রমাণ?”

 রণেন্দ্র উত্তেজিত স্বরে বলিল, “প্রমাণ? প্রমাণ আবার কি? আমার এই বিশ্বাস।”

 “তোমার বিশ্বাস ভাল নয় হে বাপু!”

 বেশী কথা-কওয়া রণেন্দ্রের স্বভাব নয়, সে আর কোন উত্তর দিল না।

 মনোমোহনবাবু এই অপ্রীতিকর চর্চ্চা ছাড়িয়া অন্য কথা তুলিয়া বলিলেন, “রণেন্দ্র, এবারকার প্রদর্শনীর জন্যে তুমি ছবি আঁক্‌বে ত’?”

 রণেন্দ্র বলিল, “আজ্ঞে আঁক্‌ব বৈকি।”

 “দেখ্‌ব তোমার ছবি কেমন হয়!”

 রণেন্দ্র ভক্তিভরে শিক্ষকের পায়ের ধূলা লইয়া বলিল, “আপনি যার গুরু—তার ভাবনা কি তুমি দেখ্‌বেন, আমার ছবি সকলের চেয়ে ভাল হবে!”

 যোগেশবাবু বলিলেন, “এ যে রাম না হতে রামায়ণ দেখ্‌চি! আগে ছবি আঁক, তারপরে জাঁক করো।”

 রণেন্দ্র একবার মুখ ফিরাইয়া। যোগেশবাবুর দিকে চাহিল—কোন কথা কহিল না। এই নীরব অবহেলা, বাক্য অপেক্ষা যোগেশবাবুকে বেশীরকম আঘাত দিল।

 মনোমোহনবাবু বলিলেন, “যোগেশবাবু, আপনি যাই বলুন, আত্ম-

৬৮