মায়ের গলা শুনিয়া খোকা চোখ মেলিল। অতি ক্ষীণস্বরে ডাকিল, “মা—মাগো!”
“বাবা আমার, ধন আমার,—কি বল্চো যাদু?” বলিতে বলিতে লীলা দুইহাতে থোকাকে জড়াইয়া ধরিল। মাতৃস্তনের উপরে মুখ রাখিয়া থোকা একেবারে এলাইয়া পড়িল।
রণেন্দ্রের চোখ জ্বলিয়া উঠিল। সে একদৃষ্টিতে মাতৃবাহু-বেষ্টিত সেই বিবর্ণপুষ্পবৎ শিশুর দিকে চাহিয়া রহিল।
লীলা ভৎর্সনার স্বরে বলিল, “এখনও ডাক্তার ডাক্তে গেলে না? তুমি কি গো!”
রণেন্দ্র অস্ফুট বাক্যে কহিল, “অ্যাঁ—ডাক্তার—হুঁ!”
স্বামীর অস্বাভাবিক কণ্ঠস্বর ও অসংলগ্ন কথা শুনিয়া লীলা সচকিতে মুখ তুলিল। বলিল, “কি বল্চ?”
“কিছু না।”
“যাও, ডাক্তার ডেকে আন।”
“হুঁ—এই যাই।” রণেন্দ্র স্খলিত পদে উন্মনার মত ঘরের ভিতর হইতে বাহির হইল ৷
দুম্ করিয়া ঘরের কপাট বন্ধ হইয়া গেল। লীলা সবিস্ময়ে শুনিল, তাহার স্বামী বাহির হইতে দরজায় শিকল টানিয়া দিতেছেন! একি!
চ
রণেন্দ্র আপনার চিত্রশালার ভিতরে ঢুকিয়া একখানা চেয়ারের উপরে বসিয়া পড়িল।