পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমান ভক্তবৃন্দ কল্যাণবরেষু। বৎসগণ, তোমরা নরলোক, অল্পেই ব্যাকুল হইয় ওঠে । দেবচরিত্র বুঝিতে পার না, দেবতার লীলা তোমাদের ক্ষুদ্র বুদ্ধির আঁয়ত্ত নয়, সেই জন্য ‘সবুরে মে ওর ফলে –এই স্বৰ্গীয় বাক্যের সম্মান ইহলোকে ভোমরা রক্ষা করিতে পারে না। তবে আমার তুৰ্ম্মতি ; নফুিল এখানে সাধে-পাধে আবির্ভূত হইলাম কেন ?--সেই দুৰ্ম্মতির ফলভোগ স্বরূপ তোমাদের কাছে আমি ও কৈফিয়ত দিতেছি। আমি কিছুদিন অবধি তোমাদিগকে দেখা দিতে যে, এত শৈথিল্য করিতেছি, তাহার অনেক কারণ আছে। যখন আমি প্রথম অবতীর্ণ হই, তখন আমার স্বৰ্গীয় বুদ্ধিতে এই ধারণ ছিল যে, নরলোকেও বুঝি প্রকৃতি দেবলোকেরই মত। কিন্তু অল্পদিনেই বুঝিতে পারিলাম যে, দেবচিত্তেও ভ্রমের স্থান হইয়া থাকে। অতএব নরলোক ভালে মত চিনিবার জন্ত এতদিন ঘুরির ঘুরিয়া বেড়াইতেছিলাম, তাই এত বিলম্ব । দুঃখিত হইও না, বিলম্বে তোমাদের ক্ষতি নাই, লাভই আছে। এতদিন কি দেখিলাম, এত বিলম্বে তোমাদের কি লাভ, সবিশেষ জানাইতেছি, অবধান করে। . সাধারণত একটা কথা জানা গিয়াছে যে, এ পাপ পৃথিবীতে অনেক পাষণ্ডের দোষে অনেক ভক্ত মারা পড়ে। তুমি আমার পরম ভক্ত, সেবক ; যথা সময়ে ভক্তিপূৰ্ব্বক ষোড়শোপচারে আমার পূজা দিয়, ই দেব, হা দেব, করিয়া আমাকে ডাকাডাকি করিতেছ। এ দিকে তখন আমি এক পাষণ্ডের ছলনায়, স্তোরু-স্তবে আত্মবিস্কৃত হইয়া, সেই পষত্তের আড্ডায় ত্বরিতাদের আয়ুসে বসিয়া আছি। তাহার দোষে তুমি ফাক পড়িলে ; শিরে করাঘাত করিয়া আমাকে ভোলানাথ ভাবিয়া, মনে মনে গালি দিতে লাগিলে । বৎস, দোষ আমার নহে, দোষ তোমাদের কপালের, আর দোষ এই দুষ্ট