পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাতাশী সাল । ¥Y Q: ইংরেজও বাণিজ্যপ্রধান জাতি, ভারতবর্ষে অনেক কারবার করিয়াছেন। রজত ও শোণিত লইয়া অথচ মাটীয় দয়ে আফিঙ, গাজা মদ চণ্ডু বেচিয়াছেন ; ইহঁদের বিচার না-কি খুব খাটি এবং সরেস, তাই অত্যন্ত্র মাত্রাতে দিয়াও অনেকের সর্বস্ব লইতে পারিয়াছেন ; হইয়াছে। আর কাবুল অঞ্চলে যথেষ্ট অপযশ লইয়া ভারতের বন প্রাণবিক্রয় দ্বারা ইংরেজ অর লাভ করেন নাই। সংবাদ এইরূপ যে, সাতাশী সালে সাহিত্যের বাজার কিছু নরম ছিল, আমদানি রপ্তানিও কম হইয়াছিল। তা হউক, কিন্তু তাহাতে পচা সড়া মালের কাটতি যে কম হইয়াছে, এমন বোধ হয় না । ৪ । সামাজিক বিবরণ। খবরের কাগজওয়ালা, সুশিক্ষার টিকাওয়ালা প্রভৃতি প্রধান লোকের বলেন, এবং ব্যবহারের দ্বারা প্রতিপন্ন করেন যে, সমাজের কথায় আমাদের কাজ কি ? পঞ্চানন্দও তাই বলেন । বাস্তৰিক বাল্যবিরাহ, বৃদ্ধবিবাহ, বিধবাবিবাহ, সধবাবিবাহু, ভদ্র শিক্ষ, বারোয়ারি, দলাদলি, পঞ্চাইতি, কি মদ মাতালের চলাচলির কথায় থাকিয়া দরকার কি ? ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্ৰ্যই উন্নতির মূল ; কেহ কাহারও তোয়াঙ্কা রাখিবে না, কাহারও মুখাপেক্ষা করিবে ন!— তবে তো মঙ্গল ! তাই যদি হইল, তবে কে কি খাইল, কে কোথায় যাইল, রাম কি বলিল, হরি কি করিল, কাহার কেমন সংস্কায়, কিসে কায় উপকার-এ সকল কথা ভাবিয়া তাসের সময়, টপ্পার সময়, ট্রারকির সময় কেন বুথ নষ্ট করিতে যাইব ? সমাজ আছে, আপনার আছে, তাহাতে আমারই বা কি আর তোমারই বা কি ?