পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৬

हूर्च्छाडूत्र । שצ'כי ১ । ব্যক্তি ; লাটের দল ও মলাটের দল। প্রখম ত দেখি খোজ লাট, নাম রিপন। লোকটা কিছুতেই নাই, খায় দায় মাইনে ভায়, এই পৰ্য্যস্ত। রিপন চাচা পষ্ট কবুল জবাব দিতে খুব মজবুত, মনের ভেতর বড় একখান কোরকাপ নেই, দলের লোক যেমন যেমন বোলে কোয়ে স্থায় তেমনি কাজ কৰ্ম্ম করে । একবার একটা টিকে দেবার আইন হয়েছিল, তাতে লেখা ছিল যে, যে টিকে না দেবে, তার ম্যাদ হবে। রিপণ চাচা আইন দেখে চমকে গেল, বোরে তোমরা দশ জনে যা ভালো বোধে । তাই করে, তায় আমি আপত্তি করি নে, কিন্তু আইনের ব্যবস্থা শুনে আমার পেটের ভিতর ইতি পা সেদিয়ে যাচ্ছে—এতে ম্যাদ কেন ? সেই হাত-পা-সেঁদোনই সার, আইনটা কিন্তু জারি হোয়ে গেল । অমনি সেদিন আবার ফৌজকুরি কার্য্যবিধির আইন হবার বেলা যতীন্দ্র ঠাকুর বললে যে, খালাশের পর আপীল করে লোককে নাস্তানাবুদ করাট ভালো নয় কোন রাজ্যেই এমন বেমস্কা কথা চলে না, তবে এখন চলবে কেন ? চাচা—ঐ রিপন চাচা সাদা সিদে লোক, বোলে ফেললে—আমি ওসব কিছু বুঝি সুবি নে, দলের লোক যা করে করুক। আগেকার লাট যা কোরে গ্যাছে, তার উন্টো করতে গেলে, এক্ষুণি এরা আমায় খেয়ে ফেলবে হচ্ছে, হৌক । চাচার এ আক্কেলটুকু হোলো না যে, আগেকার লাটের আমলে আপলে সাজা বাড়বার নিয়ম ছিল, অথচ আজকের এই মজলিসেই সেটা উণ্টে দেওয়া হচ্চে। চাচা কিন্তু স্পষ্ট বলে দিলে যে, কথাগুলো শক্ত, আমি অতো ভেবে উঠতে পারি নি। চাচার দোষই বা দি কি বোলে ? ভাল মানুষের ছেলে এসেছে ত একে মগের মুস্তুকে না জানে এ দেশের লোককে, না জানে এদের ভাষা, না জানে এদের চাল চলন, না জানে কিছু। এ হরি ঘোষের