পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8e *ाँठूर्णांकूव्र । যেদিন বে-এক্তেয়ার খিলিজি সপ্তদশ অশ্বারোহী মাত্র সম্বল করিয়া, নীরবে নবদ্বীপ প্রবেশপূর্বক বঙ্গদেশ করতলস্থ করিল, সেদিন এত গোল ন হইবারই কথা। কিন্তু পলাশীর যুদ্ধও ত শুনিয়াছি – শুনিয়াছি ; কেন না, চক্ষু চাহিয়া কষ্ট স্বীকার করিয়া কোনও কিছু দেখা আমার অভ্যাস নহে ; একটু কাণ লম্বা হইলেই যে কাজ হয়, তাহার জন্ত চক্ষুর অপব্যয় করাটা আমাদের মত বিরাট বুদ্ধিমস্ত দেবজাতির লক্ষণ নহে )—পলাসীর যুদ্ধ শুনিয়াছি, এত গোল ত হয় নাই ; বকৃসরের লড়াই হইয়াছে, এত গোল হয় নাই, সেদিনকার সিপাই-হাঙ্গামাতে এমন গোল হয় নাই ; আক্কশাসন সম্বন্ধে মঙ্গলাটের অনুষ্ঠানপত্র পাঠ মাত্র যেদিন বঙ্গদেশ স্বাধীন হইল, সেদিনও এমন গোল হয় নাই। তাহার পর বাঙ্গলী মাত্রেই অবাধে ইংরেজদিগকে কারারুদ্ধ করবে, দ্বীপচালন করিয়া দিবে, এই সুব্যবস্থার স্বচনা যখন হইল, তখনও এত গোল হয় নাই । আজি তবে কেন বাপু এমন ? কথাটা কি, না, সুরেন্দ্র কারাসাৎ ইষ্টয়াছে! উত্তম হুইয়াছে, তাহার এত গোল কেন? বরং হিসাব করিয়া বুঝিতে গেলে গোল থামিবারই কথা। পৃথিবীতে শাস্তির আবির্ভাব হুইবারই কথা। তা না, কেবল গোল, কেবল হৈ হৈ রৈ রৈ শব্দ । জিজ্ঞাস করি, ইহাতে কি ঘুমানো যায়? বলে দেখি, এত গোলযোগের পরে কি অলৌকিক প্রতিভার লক্ষণ অক্ষুন্ন রাখা যায় ? এখন এই আমায় জাগিতে হইল, কথা কহিতে হইল, মাট হইতে হইল। আমি বেশ ছিলাম ; সুরেন্দ্র জেলে গেল, আমাকে একেবারে মাটা করিয়া গেল। সামান্ত নরলোক সুরেন্দ্র, জেলে গিয়া বিশ কোটি মানুষের বুকের উপর সিংহাসন পাতিয়া আমাকে টিটকারি করিতেছে ; আর আমি দেবতা—জেলখানার ফটকেয় দিকে ফ্যাল ফ্যাল করিয়া চাহিয়া নরকযন্ত্রণ ভোগ