পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক দফা—শিশুপালন । ` ෆ්‍රොම් উচ্চারণ রহস্তে ননীগোপাল নিত্য নিত্য নূতন আনন্সের আম্বাদন গ্রহণ করিতে লাগিল । ননীগোপাল প্রত্যুষে শয্যা হইতে ওঠে, অমনি cवस्त्रॆ"चन्नौ একবার তাহাকে মিঠাই মোহনভোগ দিয়া জলযোগ করাইয়া দেন, জলযোগ সম্পন্ন হইবামাত্র হিতৈষী পিতা তাহাকে পাঠগৃহে বসাইয়া দেন; নয়ট না বাজিতেই পাঠ স্থগিত রাখিয়া ননীগোপাল স্নান করে; স্নানাস্তেই আহায়; সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ে গিয়া ননীগোপাল আৰায় পড়া দেয়, আবার পড়া লয়। প্রদোষে বাড়ী আসিয়া ননীগোপাল উপশিক্ষকের হস্তে আবার কোমল প্রাণ সমর্পণ করিয়া দেয়। যখন চিঞ্চিনে রোঁদ, সেই একটার সময় একবার ননীগোপাল বাহিক্সে যাইতে যাইতেই গলদঘৰ্ম্ম কলেবর হইয়া বিদ্যামন্দিরে পুনঃপ্রবেশ করে, এবং স্বাধীন ক্রীড়ার সুখানুভব করে। এইরূপে দশ বৎসর বয়স না হইতেই ননীগোপাল বাঙ্গাল সাহিত্যে পারদর্শী, বাঙ্গাল ব্যাকরণে কৃতবিদ্য, প্রাচীন ও নব্য সমগ্র ইতিহাসে বুৎপন্ন, ভূগোলে নখদর্পণ, বাহবভর সন্ধিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচারে তৎপর, অর্থনীতি শাস্ত্রে পণ্ডিত, পাটীগণিত, বীজগণিত, জ্যামিতি, ক্ষেত্রব্যবহার, জরীপ, স্থিতিবিজ্ঞানের যন্ত্ৰ জ্ঞান, গণিতবিজ্ঞানে বেগবান প্রভৃতি বিষয়ে সিদ্ধকাম হইয়া উঠিল; সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজী সাহিত্যেও উন্নতি কারতে লাগিল । ননীগোপালের মুখ্যাতি লোকের মুখে আর ধরে না, সেই আহলাদে ছোট বাবুর আর মাটীতে পা পড়ে না, আর ছোট বোঁ সেই অনুষ্কারে সকলের সঙ্গে দাড়াইয়া কথা কহিতে পারেন না । * * আর দশ বৎসরের মধ্যে ননীগোপাল ইংরেজীতেও পূর্ণমাত্ৰাৰ কোন লাভ করিল। শেষবার পরীক্ষা দিয়া ননীগোপাল ষে পুরস্কার পাইল, অনেকে চাকরি করিয়া ততটাক উপার্জন করিতে পারে না।