পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yoo *ाँहूर्णांकूव्र । বিংশতি ৰৎসর বয়সেই ননীগোপাল এইরূপে কৃতবিদ্য এবং সিদ্ধার্থ হইয়া খের পূর্ণভোগ পাইল, তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন সুখ মান্থ-ষয় ভাগ্যে ঘটে না; সেই জন্ত ননীগোপালের মুখেও দুইচারিট কণ্টক ফুটিয়া তাহাকে একটু কাতর করিয়াছিল। সে গুলির উল্লেখ আবগুক । ( ১ ) পঞ্চদশ বর্ষ বয়সে ননীগোপালের বিবাহ হয়। এখন তিনি বিদ্যাসমুদ্রের পারে আসিয়া মুখ ফিরাইয়া দেখিতে পাইলেন, তাহার জ্যেষ্ঠ কস্তার বয়স তিন বৎসর পুত্র খেলা করিতে শিখিতেছে এবং অজ্ঞাতকুলশীল এক ব্যক্তি র্তাহার প্রণয়িণীর উদর পরিধি বৃদ্ধি করিতেছেন । (২) প্রভোক বার পরীক্ষা দিবার অনতিপূৰ্ব্বে ননীগোপালের জয়, উদরাময়, শিরঃপীড়া প্রভৃতি উপস্থিত হইত, কিন্তু সুবিজ্ঞ চিকিৎসকদিগের কুইনীনের প্রয়োগে, গবাস্থিচূর্ণ পথ্যে, এবং পিতা মাতার যত্বের বাহুল্যে তিনি পরীক্ষা দিয়া উঠিভে পারিতেন। তাহাতে বিশেষ কিছু অনিষ্ট হয় নাই বটে, কিন্তু ননীগোপালের শরীর এখন নিয়ত নিস্তেজ এবং অসাড় মনে হয়, অগ্নিমান্দ্য সৰ্ব্বদাই থাকে, উদরাময় প্রায়ই দেখা দেয়, শিরঃপীড়া যখন তখন ঘটে, এবং চক্ষুতে কিঞ্চিৎ দৃষ্টি কম হয়। (৩) বিষ্ঠাশিক্ষা শেষ হইবার তুই তিন বৎসর আগে হইতে ননীগোপালের পিতা এক ঘরাও মোকদ্দমায় জড়িত হইয়া প্রায় সৰ্ব্বস্বাস্ত হইলেন, কিছু দিন পরে ছোট বেী, ননীর মা, প্রাণত্যাগ করিলেন, এবং ছোট বাবুও শেষে প্রেয়সীর অনুগমন করিলেন। ফলে, এ সব না ঘটিলেও আর আর যাহা ঘটিবার তাহা ঘটিতই । “তাড়য়েৎ দশবর্ষাপি”তে ক্ষান্ত হইল না। কিন্তু তাহ%হইলে কি হয়, ননীগোপাল প্রায় মানুষ হইয়া উঠিয়াছে।