পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাচু ঠাকুর তামাসা নয়। এই ত ভবের হাটে রসের পসরা মাথায় উপস্থিত হওয়া গেল! এই ত ভবসাগরে রঙ্গিল পান্‌লী ভাসান গেল ! এই ত ভবের স্বানিতে আত্ম-যোড়ন করা গেল ! এই ত ভবের আসরে নামা গেল ! এই ত ভবলীলা আরম্ভ হইল! এখন দেখা যাউক— তোমারই এক দিন, কি আমারই এক দিন! পঞ্চানন্দ বাহির হইল, লোক-সমাজে এই মলোক-সামাজিক— আলোক-সামান্তই বলিতাম, কিন্তু তাহা হইলে অনুপ্রাস ভঙ্গ হয়— এই আলোক-সামাজিক বৰ্ত্তিকা এখন নয়ণানন্দদায়িনী হইবে, তদ্বিষয়ে আমাদের সন্দেহ নাই। কিন্তু লোকে জিজ্ঞাসা করিতে পারে; এ আলোক কতদিন অন্তরে ভারত-উজ্জ্বল করিবে ? স্বৰ্য্য প্রতিদিন উদিত হন, কিন্তু স্বর্ষ্যের আলোক অতি তীব্ৰ— f চত্র ক্রমে ক্রমে কলা প্রদর্শনপূর্বক মাসে একবার মাত্র পূর্ণমাত্রায় আত্ম-বিকাশ করেন; তন্ত্ৰভিন্ন পুরাতন কাহিনী অনুসারে চক্রের কলঙ্ক আছে! নিত্য নৈমিত্তিক গৃহস্থের প্রদীপ “সুবর্ণ-দেউটি যথা তুলসীর মূলে”— মিটমিটু করিয়া জলে, বাতালে নিবিয়া যায়, এবং টিক ধরাইবার সময়ে দীপ-ছায়। উপস্থিত হয়, তবে এ আলোক কেমন ?